সেই ২ বছর বয়স থেকে প্রতিদিন ভাত খাওয়ার মত করে আমরা কেউ দুই বেলা আবার কেউ এক বেলা দাঁত ব্রাশ করে যাচ্ছি। এটা যেন দৈনন্দিন কাজের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু শুনতে বিস্ময়কর মনে হলেও সত্যি যে আমরা অনেকেই সঠিক নিয়মে এবং সময়মত দাঁত ব্রাশ করি না।
বিশ্বাস হচ্ছে না! না হওয়ায় স্বাভাবিক। সঠিক নিয়মে ব্রাশ না করলে জীবাণুগুলো ঠিকমত পরিস্কার হয় না যা দাঁতে ক্যাভিটির সৃষ্টি করে। তাই চলুন জেনে নেই সঠিক উপায়ে দাঁত ব্রাশ করার নিয়ম ও সময়-
সঠিক উপায়ে দাঁত ব্রাশ করার নিয়ম:
টুথব্রাশটি মাড়ি থেকে ৪৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে রাখতে হবে।
এবার হালকাভাবে উপরে নিচে পরিস্কার করতে থাকুন। কখনোই খুব বেশি চাপ দিয়ে ব্রাশ করবেন না।
এভাবে সবকয়টি দাঁত ব্রাশ করে নিন।
দাঁতের ভেতরের অংশ পরিস্কারের জন্যও একই নিয়ম অবলম্বন করুন।
মাড়ির দাঁতগুলো পরিস্কারের জন্য দাঁতের উপর খাড়া ভাবে ব্রাশটি রেখে তারপর পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী ব্রাশ করুন।
জিহ্বা এবং মুখের তালুও পরিস্কার করুন। এখানে ব্যাকটেরিয়া জমে থাকে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
দাঁত ব্রাশ করার সময়
সাধারণত দুই বেলা ব্রাশ করলেই হয়। দিনের শুরুতে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে।
তবে অনেকে সকালের নাস্তার পর ব্রাশ করেন। এক্ষেত্রে খাবার গ্রহণের ৩০ মিনিট পর ব্রাশ করাই শ্রেয়।
দাঁত ব্রাশ সম্পর্কিত কিছু ভুল কাজ
অতিরক্ত সচেতন ব্যক্তিরা প্রত্যেক বেলার খাবারের পরেই ব্রাশ করেন। সেটা উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতিসাধন করতে পারে। দুই বেলা ব্রাশ করাই যথেষ্ট।
একটি ব্রাশ অনেক দিন ধরে ব্যবহার করবেন না। তিন মাস পর পর ব্রাশ নতুন ব্রাশ ব্যবহার করা উচিৎ।
কোনরকমে ব্রাশ করা শেষ করতে হবে এভাবে ব্রাশ করবেন না। পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ব্রাশ করুন।
বাথরুমে ব্রাশ রাখা একটি বড় মাপের ভুল। বাথরুমে ব্রাশ রাখলে এতে ব্যাকটেরিয়া জমা হতে শুরু করে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
ফ্লস না করা এবং জিহ্বা পরিস্কার না করা।
সবসময় নরম বা কোমল প্রকৃতির ব্রাশ ব্যবহার করুন। শক্ত ব্রাশ দাঁতের ক্ষতিসাধন করে।
: আপডেট ৭:৫২ পিএম, ২৭ মে ২০১৬, শুক্রবার
এইউ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur