Home / জাতীয় / রাজনীতি / মার্চে বিএনপির কাউন্সিল
বিএনপির

মার্চে বিএনপির কাউন্সিল

মার্চ মাসে জাতীয় কাউন্সিলের টার্গেট করে সারাদেশের সর্বস্তরে দল পুনর্গঠন করছে বিএনপি। চিকিৎসা শেষে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মার্চের মধ্যভাগেই দেশে ফিরে আসবেন। তাঁর উপস্থিতিতেই এবার জাঁকজমকভাবে হবে দলের জাতীয় কাউন্সিল। এর মাধ্যমে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করার চেষ্টা জোরদার করা হচ্ছে। 
এদিকে দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই কাউন্সিলের মাধ্যমে সারাদেশের ইউনিয়ন, পৌরসভা, থানা, উপজেলা, জেলা ও মহানগর কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শেষ করার কাজ জোরেশোরে চলছে। আর এই কমিটি পুনর্গঠন তদারকি করছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো ইউনিটে দলের কমিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে হচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে।

দল পুনর্গঠন কাজ সফল করতে আগেই সিনিয়র নেতাদের নিয়ে ১০ সাংগঠনিক বিভাগের জন্য পৃথক কমিটি করা হয়েছে। আর লন্ডন থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে এই কমিটিগুলোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 
সূত্র জানায়, দীর্ঘ ৯ বছর পর বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলকে ঘিরে সারাদেশে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিট থেকে কাউন্সিলর হওয়ার জন্য নেতাদের মধ্যে চলছে প্রতিযোগিতা। এজন্য নিজ নিজ ইউনিটের কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে তারা দৌড়ঝাঁপ অব্যাহত রেখেছেন। 
এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, দলের সর্বস্তরে কাউন্সিলের জন্য প্রস্তুতি চলছে। এক মাসের মধ্যে প্রায় সব জেলা-উপজেলাসহ সকল ইউনিটে বিএনপির কাউন্সিল হয়ে যাবে। এরপরই আমরা জাতীয় কাউন্সিল করব। জাতীয় কাউন্সিলের পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই সর্বস্তরে আমাদের সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে। 
বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলে তাদের দলের বিজয়ের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাই তারা চান দ্রুত নির্বাচন। এজন্য দলের সিনিয়র নেতারা বিভিন্ন কৌশলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চাপে রাখার পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। এ ছাড়া প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেও সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছেন বিএনপি হাইকমান্ড। 
সূত্র মতে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা পেয়ে সর্বস্তরে কমিটি পুনর্গঠন করে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় কাউন্সিলের প্রস্তুতি আরও আগেই শুরু করেছেন দলের নেতারা। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই সারাদেশের বিভিন্ন ইউনিট পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিন পর্যন্ত দল পুনর্গঠন কাজ চলবে।

এর পর সারাদেশের সকল ইউনিট থেকে কাউন্সিলর চূড়ান্ত করে সকল কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে মার্চ মাসের সুবিধাজনক দিনে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল। তবে ২৬ মার্চের আগেই দলের জাতীয় কাউন্সিল হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। 
বিএনপির আগের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ। দলের নেতাকর্মীরা জানান, পরিস্থিতি প্রতিকূলে থাকায় দীর্ঘ ৯ বছর দলটির জাতীয় কাউন্সিল হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের পর পরিস্থিতি অনুকূলে আসায় নতুন উদ্যমে দলের জাতীয় কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এ কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাকর্মীরা এখন অধিক সক্রিয়।

তাই দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এখন চাঙ্গা। তৃণমূল পর্যায়ে দল পুনর্গঠনের পর সকল কাউন্সিলরকে নিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে এবার দলের জাতীয় কাউন্সিল হবে। তাই সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন জাতীয় কাউন্সিলের জন্য। 
সর্বস্তরে বিএনপির কমিটি পুনর্গঠনের কাজ তদারকি করতে দলের সিনিয়র নেতাদের ১০ সাংগঠনিক বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিভাগের দায়িত্ব সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে দেওয়া হয়নি। তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ক’জন সিনিয়র নেতা রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু এ বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন। বাকি ৯ সাংগঠনিক বিভাগে অন্য সিনিয়র নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানকে, সিলেট বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনকে, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামকে, বরিশাল বিভাগে ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, রংপুর বিভাগে ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কুমিল্লা বিভাগে ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু, খুলনা বিভাগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ফরিদপুর বিভাগে ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন ও ময়মনসিংহ বিভাগে যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে।
দল পুনর্গঠনের দায়িত্ব পাওয়া নেতারা এখন পুরোদমে  মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট বিভাগের দায়িত্ব পাওয়া স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে লন্ডন অবস্থান করলেও অন্য নেতাদের মাধ্যমে তিনি ওই বিভাগে দল পুনর্গঠনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা যায়।

৮২ সাংগঠনিক জেলাসহ তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন কমিটি পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে ছিলেন এমন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছে দলীয় হাইকমান্ড থেকে। সেভাবেই নতুন কমিটিগুলো করা হচ্ছে বলে জানা যায়। 
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, অনেক নেতাকর্মী কারাবন্দি হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে পরিবেশ প্রতিকূলে থাকায় বিগত ৯ বছরেও বিএনপি জাতীয় কাউন্সিল করতে পারেনি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হাইকমান্ডের নির্দেশনা পেয়ে নতুন উদ্যমে জাতীয় কাউন্সিলের জন্য দলের নেতাকর্মীরা তৎপর হয়।

যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় কাউন্সিল ও নতুন নির্বাহী কমিটি গঠনের বিষয়ে দলের অভ্যন্তরে চাপও বৃদ্ধি পায়। তাই ফেব্রুয়ারির মধ্যে সর্বস্তরে দল পুনর্গঠনের কাজ শেষ করে মার্চ মাসে জাতীয় কাউন্সিলের প্রস্তুতি জোরদার করা হচ্ছে। জাতীয় কাউন্সিল করে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সর্বস্তরে দলকে শক্তিশালী করতে চায় দলীয় হাইকমান্ড।  
এদিকে জাতীয় কাউন্সিল না হওয়ায় এখনো ৯ বছর আগে করা কমিটি দিয়েই চলছে বিএনপি। ৫৯২ সদস্যের পুরানো কমিটিতে শূন্য পদ রয়েছে অর্ধশতাধিক। এ ছাড়া এ কমিটির শতাধিক নেতা দলে নিষ্ক্রিয়। জাতীয় কাউন্সিল হলে নতুন কমিটির বিভিন্ন পদে স্থান পাওয়ার সুযোগ পাবেন দেড় শতাধিক নেতা। তাই দীর্ঘদিন কাউন্সিল না হওয়ায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির পদপ্রত্যাশীরা কিছুটা হতাশ।

এ পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যে দলের বেশ ক’জন নেতাকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। তবে জাতীয় কাউন্সিলের পর যোগ্য সবাইকে নিয়েই নির্বাহী কমিটি করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। তাই নতুন কমিটিতে স্থান পেতে অনেক নেতা এখন থেকেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন। 
বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুসারে তিন বছর পর পর দলের জাতীয় কাউন্সিল করে নতুন কমিটি গঠনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় ৯ বছর ধরে জাতীয় কাউন্সিল করতে পারেনি দলটি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুসারে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর ৩ বছর পর পর জাতীয় কাউন্সিল করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও বিএনপি বিভিন্ন কারণে তা করতে পারেনি।

এ কারণে দলের পদ প্রত্যাশী অনেক নেতাকর্মী হাইকমান্ডের প্রতি কিছুটা নাখোশ হলেও পরিস্থিতির কারণে তারা আবার সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন। তাই হাইকমান্ডের নির্দেশ মেনেই দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা নিয়মিত দলীয় সকল কর্মকা- চালিয়ে গেছেন। 
উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এর পর ৯ বছর পার হয়ে গেলেও পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় জাতীয় কাউন্সিল করতে পারেনি। তবে পরিবেশ অনুকূলে আসায় এখন সুবিধাজনক সময়ে দলটির জাতীয় কাউন্সিলের প্রস্তুতি চলছে।

এবারের জাতীয় কাউন্সিলেও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সভাপতিত্ব করবেন বলে দলীয় সূত্র জানায়। তবে কোনো কারণে কাউন্সিলের আগে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে না ফিরলেও ভার্চুয়ালি তিনি জাতীয় কাউন্সিলে উপস্থিত থাকবেন বলে সূত্র জানায়। 
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বেশ ক’দফা জাতীয় কাউন্সিল করার কথা দলের বিভিন্ন স্তর থেকে জোরেশোরে উচ্চারিত হলেও পরিবেশ প্রতিকূলে থাকায় শেষ পর্যন্ত তা আর আলোর মুখ দেখেনি। এর পর ২০২০ সালে দেশে ভয়াবহ করোনা শুরু হলে নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় কাউন্সিল করতে সময় বাড়িয়ে নেওয়া হয়।

তবে দেশে করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে জাতীয় কাউন্সিল করবে বলে জানালেও পরে সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তখন জাতীয় কাউন্সিল করেনি বিএনপি। এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকেও অবহিত করে তারা। কারণ, কোনো কারণে ৩ বছরের মধ্যে জাতীয় কাউন্সিল না করতে পারলে তা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করতে হয়। 
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হওয়ার আগে দলের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সর্বস্তরে দল গুছিয়ে জাতীয় কাউন্সিল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এরপর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দলকে ঢেলে সাজাতে সর্বস্তরের নেতাকর্মী জাতীয় কাউন্সিলের দাবি তুললেও পরিবেশ প্রতিকূলে থাকায় এ বিষয়ে লন্ডন প্রবাসী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সায় ছিল না।

তারেক রহমান সায় না দেওয়ায় তখন জাতীয় কাউন্সিল করেনি বিএনপি। এর পর আরও কয়েক দফা দলের সিনিয়র নেতারা জাতীয় কাউন্সিলের দাবিতে সোচ্চার হন। বর্তমানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিএনপির অনুকূলে থাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মী জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছেন। 
বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হাইকমান্ডের নির্দেশে সারাদেশের সর্বস্তরে দল পুনর্গঠন করার কাজ পুরোদমে চলছে। সকল পর্যায়ে কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শেষ করে কাউন্সিলরদের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। এরপর দলীয় হাইকমান্ডের অনুমতি নিয়ে জাতীয় কাউন্সিলের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশে ফিরে আসার পর ২৬ মার্চের আগেই দলের জাতীয় কাউন্সিলের প্রস্তুতি চলছে। এবারের  জাতীয় কাউন্সিল আগের ৬টি কাউন্সিলের চেয়ে বেশি জাঁকজমকভাবে করার চেষ্টা চলছে। (সূত্র- দৈনিক জনকণ্ঠ)

নিউজ ডেস্ক/২৭ জানুয়ারি ২০২৫