Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে ঘর সংস্কারে বাধা, সহায়তা চায় ভুক্তভোগীরা
ঘর

ফরিদগঞ্জে ঘর সংস্কারে বাধা, সহায়তা চায় ভুক্তভোগীরা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে নিজ জমিতে পুরনো ঘর সংস্কারে গিয়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের বাধার মুখে পড়েছেন মিজানুর রহমান তপদার ও তার পরিবার। এ ঘটনায় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।

জানা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার চান্দ্রা বাজার এলাকায় ২০০৮ সালে মিজানুর রহমান তার নিজস্ব ৩ শতাংশ জমিতে আধা পাকা টিনশেড ঘর নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন। পরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকায় পাড়ি জমানোর কারণে ঘরটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত ছিল। সম্প্রতি জরাজীর্ণ ঘরটি সংস্কারের উদ্যোগ নিলে স্থানীয় একটি পক্ষ ওই জায়গা সরকারি সম্পত্তি দাবি করে বাধা দেয় এবং ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অভিযোগ করে। পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তা সংস্কার কাজ বন্ধ রাখতে বলেন।

ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমান গং সিএস ৫১৬ ও ৫১৭ দাগভুক্ত ৬ শতাংশ জমির বৈধ মালিক, যার মধ্যে তিনি এককভাবে ৩ শতাংশের মালিক। এই জমিতেই ওই ঘর নির্মিত।

অভিযোগে উল্লিখিত সিএস ৪১৮ (বর্তমানে বিএস ৫৭১) দাগের জমি সরকারি খতিয়ানে ‘রাস্তা’ হিসেবে চিহ্নিত হলেও বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব নেই। মিজানুর রহমান গং ২০০৩ সাল থেকে ওই জমি একসনা লিজ নিয়ে নিয়মিত নবায়নের মাধ্যমে ভোগ দখলে রেখেছেন। যার মামলা নম্বর ৬৪/২০০৩।

ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান বলেন, “পুরনো ঘরটি একটু মেরামত করে বসবাসযোগ্য করার চেষ্টা করছিলাম। হঠাৎ স্থানীয় কিছু লোক এসে বাধা দেয়। অথচ জায়গাটি আমাদের বৈধ মালিকানাভুক্ত এবং যেটুকু সরকারি জমি আছে, সেটিও আমরা নিয়ম অনুযায়ী লিজ নিয়েই ব্যবহার করছি। ইতিমধ্যে তারা আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করে আসছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি”।

এ বিষয়ে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুমন চন্দ্র পাল বলেন, “মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে আমি আপাতত ঘরের কাজ বন্ধ করতে বলেছি এবং এসিল্যান্ড স্যারকে বিষয়টি জানিয়েছি। তবে রেকর্ড অনুযায়ী, উক্ত লিজ ২০০৩ সাল থেকে বৈধভাবেই নবায়ন হচ্ছে।”

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়াজি বলেন, “মিজানুর রহমান তার নিজস্ব জমিতে নির্মিত ঘর পুননির্মান করছেন। তারা বিএস ৪১৮ দাগের সরকারি জমি সরকারের কাছ থেকে নিয়মিত লিজ নিয়ে ব্যবহার করছেন। একটি মহল নিজেদের স্বার্থে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। যেখানে বাস্তবে কোনো রাস্তার অস্তিত্ব নেই, সেখানে রাস্তার অজুহাতে বাধা দেওয়াটা অনাকাঙ্ক্ষিত।”

তিনি আরও বলেন, “সরকারি জমি ব্যবহারে যদি কোনো সমস্যা থাকত, তাহলে তা দেখার দায়িত্ব সরকারের। অথচ কিছু ব্যক্তি নিজেদের সুবিধার জন্য অপ্রয়োজনে বাধা সৃষ্টি করছে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এ.আর.এম জাহিদ হাসান বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে একটা অভিযোগ আসছে। প্রাথমিক ভাবে আমরা তদন্ত করে দেখলাম মিজানুর রহমান যেই দাগে ঘর করছে, উনি উনার ব্যক্তি মালিকানা জমিতে ঘর করছে। পাশের দাগটা আমাদের সরকারী সম্পত্তি। তারপরও আমরা বিষয়টা ক্ষতিয়ে দেখছি।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ১৫ মে ২০২৫