Home / চাঁদপুর / পুরানবাজার মার্চ্চেন্টস একাডীর বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণ

পুরানবাজার মার্চ্চেন্টস একাডীর বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণ

চাঁদপুর ‌শহরের শিশু শিক্ষার অনন্য বিদ্যাপীঠ পুরানবাজার মার্চ্চেন্টস একাডিমীর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে জেলার প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা পুরানবাজার নিতাইগঞ্জ রোডস্থ বিদ্যালয় মাঠে উৎসব মুখর পরিবেশে এ আয়োজন করা হয়।

সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার শুভ উদ্বোধন করেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী বীর মুক্তি যোদ্ধা আব্হাদুল হামিদ মাস্টার।

চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চেম্বারের সহ-সভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদের সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, পুরানবাজার মধুসূদন হরিসভা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথান শিক্ষক গনেশ চন্দ্র দাশ, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠিতা প্রতিনিধি রেজোয়ান আহামেদ রিজু পাটোয়ারী‌। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শতাব্দী আচার্যি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তি যোদ্ধা আব্হাদুল হামিদ মাস্টার বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে সম্প্রীতির বন্ধনে বসবাস করছে। এখানে যে যার ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালন করছে। আমাদের সবাইকে এই সম্প্রীতি সোহার্য ধরে রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, চাঁদপুর জেলার প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা আমাদের এই পুরানবাজার। এরপরেও সরকারের উন্নয়ন এবং সুযোগ-সবিধা থেকে এই এলাকার মানুষ বরাবরই অবহেলিত ‌থেকেছে। তবে এই এলাকার মানুষ নিজেরা নিজেদের অবহিত রাখেনি। এই এলাকার আলোকিত মানুষরা নিজেরাই এখানে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক প্রতিষ্ঠার গড়ে তুলেছে। যার মধ্যে অন্যতম পুরানবাজার মার্চ্চেন্টস একাডেমি। এই স্কুলটিতে সরকারি ভবন তৈরি সহ আরো উন্নতি করতে শক্তিশালী কমিটি গঠন করবেন। পাশাপাশি এই স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম আরো উন্নতি করে অতীতের সুনামকে অব্যাহত রাখতে হবে।

সভাপতির বক্তব্য বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহ সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় বলেন, এই বিদ্যালয়ের জমিটি সরকারি একটি গোডাউন ছিল। তৎকালীন সময়ে মিজানুর রহমান পাটোয়ারী ও আমিসহ চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে সরকারি ভাবে আবেদন করে স্কুলের নামে জমিটি অদিগ্রহন করি। সেই থেকে বিদ্যালয় পরিচালনায় সকলের সহযোগিতায় এখনো চলমান রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এই বিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষকে সরকারিভাবে বেতন দেয়া হতো। কিন্তুু হঠাৎ করেই তা বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যালয়টি সরকারিভাবে এমপিওভুক্ত হলে আমাদের জন্য ভালো হবে। এতে সরকারি বেতনভুক্ত শিক্ষক এবং সরকারি ভবনসহ অনান্য সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে। আমি এই বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের যে সুনাম রয়েছে, সেটি অব্যাহত রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি স্বপন কুমার দাশ, মানিক ঘোষ, জাকারিয়া ভূইয়া বতু, পুরানবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সুখ রঞ্জন দাস, সাবেক সিনিয়র সহকারি শিক্ষক কল্পনা সরকার। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফরিদ বেপারির প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মনোমুগ্ধকর নিত্য এবং ডিসপ্লে পরিবেশন করে। আমন্ত্রিত অতিথি, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা বার্ষিক ক্রীড়ার বর্ণাঢ্য আয়োজনটি উপভোগ করেন। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কার্ত্তিক পাল, উন্মে সালমা, মিরা পাল, জান্নাত আক্তার, অঞ্জনা সাহা, উমা দত্তসহ আরো অনেকে।

প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫