আগামি ৩০ জানুয়ারী হাজীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা-ধানের শীষের সাথে ৬৭ জন কাউন্সিলর সমান তালে চালাচ্ছেন প্রচার প্রচারণা। ভোট গ্রহন এবং গননার মধ্য দিয়ে ভাগ্য নির্ধারন হবে কে হবেন নগর পিতা ও স্থানীয় ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
১১জানুয়ারি উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্ধ দেন জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটানিং অফিসার মো. তোফায়েল আহম্মেদ।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান মেয়র আ স ম মাহবুব-উল আলম লিপন ও ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী আ. মান্নান খান বাচ্চু।
জানা যায়, হাজীগঞ্জ পৌরসভায় মোট ভোটার ৪৫ হাজার ৩শ ৮৪ জন। ১২ ওয়ার্ডের ২০ টি কেন্দ্রে আগামি ৩০ জানুয়ারি ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে ২ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৫ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫২ জনসহ মোট ৬৯ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে লড়ছেন।
সরেজমিন ঘুরে ভোটারদের মুখে মুখে যারা এগিয়ে তাদের মধ্যে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে সংরক্ষিত-১ (ওয়ার্ড নং- ১, ২ ও ৩) থেকে কাজলী রাণী সরকারের (চশমা) ও রোকেয়া বেগমের (আনারস) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এখানে কাজলী রাণী সরকারের অবস্থান অনেক ভাল বলে জানা যায়। সংরক্ষিত-২ (ওয়ার্ড নং- ৪, ৫ ও ৬) থেকে লুৎফুন্নাহার খানমের (চশমা), সাহিদা বেগমের (আনারস) ও মমতাজ বেগম মুক্তার (জবাফুল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এখানেও কাজলী রাণীর অবস্থা ভাল বলে জানা যায়। সংরক্ষিত-৩ (ওয়ার্ড নং- ৭, ৮ ও ৯) জোহরা বেগমের (টেলিফোন), মিনু আক্তারের (জবাফুল), সাবিনা ইয়াসমিনের (আনারস), সারমিন সুলতানার (চশমা), রোকেয়া বেগম কেয়ার (অটোরিক্সা), ফরিদা ইয়াসমিনের (বলপেন) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ওয়ার্ডে কে আসতে পারে তা সঠিক ভাবে ধারনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সংরক্ষিত-৪ (ওয়ার্ড নং- ১০, ১১ ও ১২) রেজিয়া বেগমের (জবাফুল), নাজমুন নাহার ঝুমুর (আনারস), বিবি হাওয়ার (চশমা) ও জাহানারা বেগমের (বলপেন) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে নাজমুন নাহার ঝুমুর অবস্থান ভালো বলে জানা যায়।
সাধারণ কাউন্সিলর পদে যেসব প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তাদের মধ্যে ১নং ওয়ার্ড থেকে সাংবাদিক মো. হাবিবুর রহমানের (ডালিম), মাঈনুদ্দিন মিয়াজীর (পাঞ্জাবী), আবু তাজের লিটন ভূঁইয়ার (ব্লাকবোর্ড), কাজী মামুনুর রশিদ মাসুদের (টেবিল ল্যাম্প), মো. জহিরুল হকের (উটপাখি) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ওয়ার্ডে মামুনুর রশিদ মাসুদের অবস্থান ভাল বলে জানা যায়।
২নং ওয়ার্ড থেকে আলাউদ্দিন মুন্সীর (ডালিম), সাংবাদিক মো. শাখাওয়াত হোসেনের (পানির বোতল), রাধা কান্ত রাজুর (গাজর), নান্নু বেপারীর (উটপাখি), মো. রাকিবুল ইসলাম রিপনের (টেবিল ল্যাম্প), আবিদ মিয়ার (পাঞ্জাবী) ও নাসির উদ্দিনের (ব্লাকবোর্ড) নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ওয়ার্ডে নতুন প্রার্থী রাধাঁ কান্ত রাজুর অবস্থান ভাল বলে জানা যায়।
৩নং ওয়ার্ড থেকে রায়হানুর রহমান জনির (টেবিল ল্যাম্প), আব্দুল মোমেন খানের (ব্লাকবোর্ড), মোহাম্মদ হোসেনের (ডালিম), কামরুল ইসলাম খাঁনের (পানির বোতল), মহসিন ফারুক বাদলের (পাঞ্জাবী) ও জসিম উদ্দিন তপদারের (উটপাখি) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ওয়ার্ডে সঠিক ভাবে এখ পর্যন্ত ধারনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
৪নং ওয়ার্ড থেকে আজহারুল ইসলাম আলম বেপারীর (টেবিল ল্যাম্প), মো. মনির হোসেন সাগরের (পাঞ্জাবী), মো. তাজুল ইসলামের (উটপাখি) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর প্রার্থীর সাথে তাজুল ইসলামের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
৫নং ওয়ার্ড থেকে রিটন চন্দ্র সাহা লিটনের (টেবিল ল্যাম্প), মো. আলাউদ্দিন চৌধুরীর (উটপাখি), মো. সুমন তপদারের (পাঞ্জাবী) ও কার্তিক সাহার (ডালিম) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ওয়ার্ড থেকে সুমন তপদারের অবস্থা ভাল বলে জানা যায়।
৬নং ওয়ার্ড থেকে মো. শাহ আলমের (উটপাখি), শাহাব উদদ্দিন সাবুর প্রতীক (ডালিম) ও রাসেল খানের (টেবিল ল্যাম্প) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ওয়ার্ড গতবারের আওয়ামী লীগের জটিলতা থাকায় এবার শাহ আলমের অবস্থান ভাল বলে ধারনা করা যায়।
৭নং ওয়ার্ড থেকে এমরান হোসেন মুন্সীর (পাঞ্জাবী), মো. কাজী মনিরের (উটপাখি) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে নতুন প্রার্থী হিসাবে কাজী মনির ভোটারদের মন পূর্বে থেকে জয় করে জয়ের মালার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানা যায়।
৮নং ওয়ার্ড থেকে কাজী মুরাদ হোসেন মিরনের (পাঞ্জাবী), আলহাজ্ব কাজী কবির হোসেনের (ডালিম) ও মোবারক কাজীর (উটপাখি) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে কবির হোসেন কাজীর জনপ্রিয়তা রয়েছে।
৯নং ওয়ার্ড থেকে মো. আজাদ হোসেন মজুমদারের (উটপাখি), হাফেজ মো. মোস্তফা কামালের (পাঞ্জাবী), মো.শাহদাৎ হোসেন বাবুলের (ব্রিজ), আইয়ুব আলী বেপারীর (ডালিম) ও জামাল হোসেনের (টেবিল ল্যাম্প), সালেহ আহম্মেদ রানার (পানির বোতল) নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানেও বর্তমান কাউন্সিলর আজাদ হোসেন নানা কৌশলে এগিয়ে।
১০নং ওয়ার্ড থেকে খোরশেদ আলম ভুট্টোর (ডালিম), হাবিব-উন-নবী সোহেলের (পানির বোতল), সৈয়দ আব্দুর রাজ্জাকের (টেবিল ল্যাম্প), বিল্লাল হোসেনের (পাঞ্জাবী) ও ফজলুল হক মজুমদারের (উটপাখি) নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই ওয়ার্ডে বিল্লাল হোসেনের অবস্থান ভালো আছে বলে জানা যায়।
১১নং ওয়ার্ড থেকে মো. শুকু মিয়ার (বোতল), মুন্সী মোহাম্মদ মনিরের (পাঞ্জাবী), সাদেকুজ্জামান মুন্সীর (টেবিল ল্যাম্প), ও মো. হারুন অর রশিদের (উটপাখি) নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ওয়ার্ডে কে আসেন তা বলা এখন পর্যন্ত জটিল হয়ে দাড়িয়েছে। ১২নং ওয়ার্ড থেকে নুরুল ইসলাম বেপারীর (পানির বোতল), শাহআলমের (উটপাখ) জহিরুল ইসলামের (পাঞ্জাবী) ও শুকু মিয়ার (ডালিম) নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ওয়ার্ডে বর্তমানের সাথে গতবারের প্রতিদ্বন্দ্বিকারী শাহআলমের সাথে লড়াই হবে বলে জানা যায়।
নির্বাচনকে সুষ্ট ও অবাদ করতে আগামি ২৮ জানুয়ারী হাজীগঞ্জ মডেল পাইলট সরকারী হাই স্কুল এন্ড কলেজের হলরুমে প্রিজাডিং ২০ জন, সহকারী প্রিজাডিং ১২৮ জন ও পোলিং অফিসার ২৫৬ জন প্রশিক্ষনে অংশ নিবেন।
প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়,২৬ জানুয়ারি ২০২১