চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ বাইপাস সড়কের ওপর নির্মিত কামতা বাজার ব্রীজ নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধে ব্যস্তে যেতে পারে প্রকল্পের কাজ। দীর্ঘ এক বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কাজটির কোনো নাম গন্ধ নেই।
স্থানীয় ভাবে দু’পক্ষের দীর্ঘ দিনের মতবিরোধ নিরসন না হওয়ায় ব্রীজ নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজে অগ্রসর হতে পারছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় একাধিক সৃত্রে জানা যায়, গত বছরের শুরুতে যখন কামতা বাজার পুরানো ব্রীজটি ভেঙ্গে নতুন ব্রীজ নির্মানের পরিকল্পনা চলে, ঠিক ওই মহুর্তে কামতা বাজার ব্রিক ফিল্ডের মালিক ও চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি শফিকুর রহমান নতুন ভাবে পুরানো ব্রীজ ভেঙ্গে ওই স্থানে নতুন ব্রীজ নির্মাণের জন্য আবেদন দেন।
অপরদিকে স্থানীয় কামতা বাজার ব্যবসায়ীরা এর প্রতিবাদ করে পূর্ব নির্ধারিত স্থানে বাজারের দক্ষিন পাশে ব্রীজ নির্মাণের দাবি করে আসছেন।
শতবছরের পুরনো কামতা বাজার ব্রীজটির দুই পাশ শুরু ও বেহাল দশা দেখা দেওয়ায় এর শত গজ দক্ষিনে নতুন ২৪ পিট ব্রিজ ও ৮০ পিট রাস্তার কাজের অনুমোদন হয়। কিন্তু ওই কাজের ছকে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাবসয়ী শফিকুর রহমানে ব্রিক ফিল্ডের কিছু অংশ পড়ে যাওয়ায় উওর পাশের পুরণো ব্রীজটি ভেঙ্গে তার ওপর দিয়ে নতুন ব্রীজ নির্মাণ কাজের প্রক্রিয়া চালান।
এ নিয়ে গত বছরেই স্থানীয় জনতা,বাজার ব্যবসায়ী,স্কুল-মাদ্রাসা ও পথচারীদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তাদের দাবি ছিল প্রস্তাবিত ম্যাপ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করতে হবে । আর তা না হলে ছকের বাহিরে তথা দক্ষিণ পাশ ছাড়া উওর পাশ দিয়ে ব্রীজ হতে দিবে না মর্মে স্থানীয়রা মত দেন।
এ জন্য স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সু-দৃষ্টি কামনা করে মানবন্ধনও করা হয়। এতে প্রতিবারই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজের ঘোড়ায় এসে পিরে যেতে বাধ্য হয়।
বিষয়টি এখনো সমাধানে না আসায় শেষ পর্যন্ত নতুন ব্রীজ নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে পুরাণো ব্রীজটি জরাজীর্ণ হয়ে করুণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাই স্থানীয় পথচারী ও যাত্রী সাধারণ দ্বন্দ্ব নিরসন করে ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শুরু করার আহবান জানান।