চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৩নং বিতারা ইউনিয়নের তেগুরিয়া (চাংপুর) গ্রামে প্রতিষ্ঠিত সোনার বাংলা সাহিত্য পাঠাগারে দিনের পর দিন পাঠক চাহিদা বেড়েই চলছে। সোনার বাংলা সাহিত্য পাঠাগারটি দিন দিন পাঠক প্রিয় হয়ে উঠলেও এতে পাঠকদের চাহিদানুযায়ী নেই বই।
জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৬ মার্চ উপজেলার পালাখাল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে এলাকার শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠীর শিক্ষা বিস্তারে চাহিদা মেটাতে সোনার বাংলা সাহিত্য পাঠাগারের যাত্রা শুরু হয়। যার প্রতিষ্ঠাতা, সাংবাদিক জিসান আহমেদ নান্নু। পালাখাল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে পাঠাগারটি পরিচালিত হওয়ার পর স্থানীয় কলেজ, স্কুল, মাদ্রাসায় পড়–য়া শিক্ষার্থীদের পদচারণায় পাঠাগারটি বেশ জমজমাট হয়ে উঠে।
কিন্তু বছর তিনেক ওই স্থানে পাঠাগারটি পরিচালিত হলেও এক সময় অজ্ঞাত চোর চক্র পাঠাগারে তালা ও দরজা ভেঙ্গে পাঠাগারের আসবাবপত্র, বই, চেয়ার, টেবিল ও ফ্যান চুরি করে নিয়ে যায়। ফলে পাঠাগার কর্তৃপক্ষ ও পাঠকদের মাঝে হতাশা দেখা দেয়।
পরবর্তীতে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে পালাখাল বাজার সংলগ্ন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে পাঠাগারটি কচুয়া-সাচার-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কের পশ্চিম পাশে নিজস্ব কার্যালয় তেগুরিয়া (চাংপুর) গ্রামে পাঠাগারটি স্থানান্তর করা হয়। পাঠাগারে পূর্বের ন্যায় পাঠক উপস্থিতি থাকলেও বর্তমানে পাঠাগারে উল্লেখযোগ্য বই নেই। ফলে পাঠকরা এ পাঠাগারে বিভিন্ন লেখকের বই উত্তোলনের জোর দাবী জানিয়েছে।
চাঁদপুর জেলা পরিষদের ১৪নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ জোবায়ের হোসেন জানান, এলাকায় পাঠাগারটির সুনাম রয়েছে বলে শুনেছি। তবে ভবিষ্যতে পাঠাগারটির সার্বিক উন্নয়নে জেলা পরিষদে বরাদ্দ দেয়া হবে।
পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জিসান আহমেদ নান্নু বলেন, পাঠাগারে প্রায় বিভিন্ন লেখকের প্রায় ১হাজার বই রয়েছে। তাছাড়া প্রতিদিন একটি জাতীয় দৈনিক ও একটি স্থানীয় পত্রিকা রয়েছে। নিরিবিলি ঘরোয়া পরিবেশে হওয়ায় পাঠাগারে দিন দিন পাঠকের উপস্থিতি লক্ষ্যনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক হাবিব মজুমদার জয় জানান, পাঠকদের চাহিদানুযায়ী ও যুগপোযোগী করে তুলতে আমাদের প্রচেষ্টা রয়েছে। ভবিষ্যতে সরকারি কিংবা ব্যক্তি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ পাঠাগারের কার্যক্রম আরো এগিয়ে নেয়া হবে। পাঠাগারের নিয়মিত পাঠক তেগুরিয়া ওবায়েদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাঈদ মাহমুদ তুহিন ও মুরাদ মাহমুদ তপুসহ বেশ কিছু পাঠাক জানান, শুক্রবারসহ প্রতিদিন সকাল বিকাল পাঠাগারটি কাছাকাছি হওয়ায় বই পড়তে ভাল লাগে। কিন্তু সব ধরনের বই না থাকায় একটু খারাপ লাগে।
এদিকে সোনার বাংলা সাহিত্য পাঠাগারের বই, উপন্যাস, ইসলামী বই, আসবাবপত্র ও অন্যান্য সমস্যা সমাধানে জেলা পরিষদে বরাদ্দ দিতে চাঁদপুর জেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটওয়ারীর সু-দৃষ্টি কামনা করেছে সচেতন পাঠকরা।
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ৫৯ পিএম, ৮ মে ২০১৭, সোমবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur