Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / ‘জনপ্রতিনিধি হলে সাধারণ মানুষের কাছাকাছি গিয়ে জনসেবা করা যায়’
জনপ্রতিনিধি

‘জনপ্রতিনিধি হলে সাধারণ মানুষের কাছাকাছি গিয়ে জনসেবা করা যায়’

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে বিএনপি তথা দেশের মানুষের চোখ এখন জাতীয় নির্বাচনের দিকে। বিগত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি প্রবাসীদেরও ব্যাপক সমর্থন ছিল। বিগত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে ভোটের অধিকার হরণ করায় আমরা প্রবাসীরা দেশে এসে কোন নির্বাচনে ভোট দিতে পারি না। তাই আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। সকল বাধা ও সড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তারেক রহমান হবেন আগামীর বাংলাদেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী। সেই অপেক্ষায় দেশের মানুষ।

সম্প্রতি সুইজারল্যন্ড থেকে নিজ জন্মভূমি চাঁদপুরের কচুয়ায় ফিরেন সুইজারল্যন্ড প্রবাসী ও ইউরোপিয়ান কচুয়া জাতীয়তাবাদী ফোরামের সাবেক সাধারন সম্পাদক ইসমাইল হোসেন কাউছার। তিনি কচুয়া উপজেলার ১২নং আশ্রাফপুর ইউনিয়নের সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মরহুম সোলেমান মিয়ার জৈষ্ঠ সন্তান। ইসমাইল হোসেন কাউছার ইউরোপিয়ান কচুয়া জাতীয়তাবাদী ফোরামের সাবেক সাধারন সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন ছাড়াও তিনি সুইজারল্যন্ড-লুজান্ড শাখা বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি ও ইউরোপিয়ান কচুয়া জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি পদপ্রার্থী।

কচুয়া উপজেলা ছাত্রদলের এক সময়েরকার সাবেক মেধাবী-তোখর ছাত্রনেতা, কচুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক তৎকালীন ১৯৮৬ সালে কচুয়ার অন্যতম বিদ্যাপিঠ রহিমানগর বিএবি উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরতকালীন সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তিনি চট্রগ্রাম ওমর গনি এম.ই.এস কলেজে ১৯৯০ সালে ছাত্রদলের দায়িত্বশীল রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। একই কলেজ থেকে তিনি ১৯৯৪ সালে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে মোঃ ইসমাইল হোসেন জীবিকার তাগিদে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী সরকারে সময়ে হামলা-মামলার বুঝা মাথায় নিয়ে সুইজারল্যান্ড প্রবেশ করেন।

চাঁদপুর-১: কচুয়া আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ ইসমাইল হোসেন কাউছার বলেন, রাজনীতিতে বিগত দিনেও আমি সোচ্ছার ছিলাম। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় দায়িত্ব পালন করি। বর্তমানে প্রবাসে থাকলেও জুলাই বিপ্লবে আমাদের প্রতিটি প্রবাসির সমর্থন ছিল। তিনি আরো বলেন, আমার প্রয়াত বাবা মোঃ সুলাইমান চেয়ারম্যান, দীর্ঘদিন আশ্রাফপুর ইউনিয়নবাসীর পাশে ছিলেন। আমিও তার সন্তান হিসেবে কচুয়ার মানুষের পাশে থাকতে চাই। বিশেষ করে রাজনীতিতে চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি ও দলের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করে আসছি দল ও এলাকার মানুষ চাইলে নির্বাচনে অংশগ্রহন করবো। দলে একাধিক প্রার্থী রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি একটি বৃহত্তম গণমানুষের দল। এ দলে একাধিক প্রার্থী থাকা স্বাভাবিক। দলের নীতি নির্ধারণ আমাকে মূল্যায়ন করলে নির্বাচন করব। কোন কারনে মনোনয়ন না পেলে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করব। এজন্য তিনি এলাকাবাসী তথা পুরো কচুয়া উপজেলাবাসীর দোয়া, সমর্থন ও সহযোগীতা কামনা করেছেন।

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু