এবারে অভয়াশ্রম চলাকালে জেলেদের জন্যে খাদ্যসহায়তা হিসেবে ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ এসে গেছে। এই চাল অভিযানের শুরুতেই জেলেদের হাতে পৌঁছে দিতে হবে। তবে এবছর জেলেদের ১কেজি চালও কম দেয়া যাবে না। কারণ এবছর চালের সাথে পরিবহন খরচও দেয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
২৯ সেপ্টেম্বর মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিপদপ্তরের আয়োজনে জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জেলা প্রশানক বলেন, আগে পরিবহণ খরচের কথা বলে চাল কম দেয়া হতো। এবার পরিবহন ব্যায়ের জন্যে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছে। এবার চাল কম আসেনি। কিছু বেশি এসেছে। বেশিটা ফেরত পাঠিয়ে দিবো। চাঁদপুরে নিবন্ধিত ৫১ হাজার ১৫০ জন জেলে আছেন। আমি চেয়ারম্যান সাহেবদের হুঁশিয়ারি করে দিচ্ছি। জেলেদের কাছ থেকে ব্যায় বাবদ কোন চাল কাটতে পারবেন না।
তিনি বলেন, চাল বিতরণকালে ট্যাগ অফিসাররা থাকবেন। প্রয়োজনে ইউএওরাও থাকবেন। চাল কম দেয়ার সংবাদ পেলে চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গরীবকে ঠকানো যাবে না। হালনাগাদ তালিকা অনুযায়ী প্রত্যেক জেলে যাতে ২০কেজি করে চাল পায়। একজন জেলেও জেন বাদ না পড়ে। সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
নতুন তালিকায় ৭ হাজার জেলে বাদ পড়েছে। যে জেলে বাদ পড়েছে তাদের চাউল কি করেছেন। তাই এসব বাদ দিন। আমরা সবাই যার যার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবো। তবে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান সফল হবে।
শুরুতেই বিগত সভার কার্যবিবরণ, সিদ্ধান্ত এবং অগ্রগতি তুলে ধরেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী।
পরে আলোচ্য বিষয়ের উপর বিভিন্ন প্রস্তাবনা, পরামর্শ এবং সমস্যার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, নৌ-পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইমতিয়াজ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, হাইমচর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সাংবাদিক ফারুক আহমেদ, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক মানিক দেওয়ান, সৎস্যজীবী নেতা তছলিম বেপারী, শাহআলম মল্লিক প্রমুখ।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১