Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির বার্ষিক সাধারণ সভা
সাহিত্য

চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির বার্ষিক সাধারণ সভা

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও সাহিত্য একাডেমির সভাপতি মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বক্তব্যে বলেছেন, সভাপতি হিসেবে আমি একক কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারি। আমি গঠনতন্ত্রের মধ্যে থাকার চেষ্টা করেছি। আমি চেয়েছি সাহিত্য একাডেমিকে নিয়ে এগিয়ে যেতে। প্রায় একযুগ ধরে স্থবির হওয়া প্রতিষ্ঠানকে সচল করাই আমার লক্ষ্য।

শুক্রবার (১৬ মে) বিকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, কাজ করলে সমালোচনা হবেই। ভালো কিছু বের করতে হলে যেকোনো পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সাহিত্য নিয়ে যার কাছে তথ্য আছে তাকে বাদ দেওয়া উচিত নয়। সাহিত্য একাডেমি নিয়ে আমি সমালোচনায় পরতে চাই না।

ডিসি বলেন, আলোচনা সমালোচনা করেন তাতে কোন সমস্যা নাই, এটা গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে ব্যক্তিগত আক্রমন করা ঠিক না। তবে এমন আলোচনা সমালোচনা দেখে আমি বুজতে পেরেছি পূর্বের জেলা প্রশাসকরা কেন উদ্যোগ নেয় নাই। আজকে আমি উদ্যোগ নেয়াতে আলোচনা সমালোচনার অংশ হয়েছি। তবে কেউ কেউ আমাকে অ্যাটাক করেছেন, যেটাতে আমি হতাশ হয়েছে। ১২ বছরের স্থবির একটা প্রতিষ্ঠানকে সচল করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নিয়েছি। তাতে কি আমার ভুল হয়েছে? কিছু কিছু সমালোচনা আমি পজিটিভভাবে নিয়েছি। সাহিত্যিকদের এগিয়ে নিতে যদি সমালোচনার মধ্যে পরি তাহলেতো আমার এরকম দরকার নাই। তবে খুশি হয়েছি সাহিত্য একাডেমির নির্বাচন নিয়ে সাহিত্যিকদের কর্মচাঞ্চল্য দেখেছি।

তিনি আরো বলেন, আমি চাইলেই গঠনতন্ত্রের বাহিরে যেতে পারি না। চাইলে একজনকে ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দিতে পারি না বা নতুন কোন ভোটার নিতে পারি না। আমি আপনাদের প্লাটফর্মকে সচল করার চেষ্টা করছি। চলেন একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করি। আমি চাই সখ্যাগরিষ্ঠের মতামত। সেই মতামত নিয়েই আমি সাহিত্য একাডেমিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমি চাচ্ছি না থেমে যেতে। সাহিত্য একাডেমিটা সচল হোক।

এসময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. এরশাদ উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত উপস্থিত ছিলেন।

এতে সাহিত্যিকদের মধ্যে বক্তব্য দেন, মো. জাহাঙ্গীর, সাহাদাত হোসেন শান্ত, কাদের পলাশ, সোহেল রুশদী, ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, মাইনুল ইসলাম মানিক, আশরাফুজ্জামান কাজী রাসেল, মিজানুর রহমান, নুরুন্নাহার মুন্নী, লিটন ভূঁইয়া, নুরুল ইসলাম ফরহাদ, ইসমাইল হোসেন, মোরশেদা খানম, বিপ্লব, আব্দুল্লাহ হিল কাফী, মো. সাইদুজ্জামান প্রমূখ।

সভায় আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে সর্বোসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও খসড়া ভোটার লিস্ট, নির্বাচনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সকলের মত প্রকাশ করা হয়।

স্টাফ রিপোর্টার, ১৬ মে ২০২৫