চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় চলতি সপ্তাহে খাদ্যবান্ধব কর্মসৃচির আওতায় ৭ হাজার ২৬৬ উপকারভোগীর মাঝে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি শুরু হবে।
আগামি ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টা থেকে উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে মোট ২১৭.৯৮০ মে. টন চাউল বিক্রি শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা খাদ্য অফিস। এ লক্ষে ইতিমধ্যে ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা নিযুক্ত ডিলারগন উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে চাল মওজুদ করতে দেখা যায়।
উপজেলা খাদ্য অফিসের সহকারী কর্মকর্তা নাজমুল মিয়া জানান, সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসৃচি আবারো শুরু হয়েছে। আগামি ২০, ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর তিনদিন এ উপজেলায় ৭ হাজার ২৬৬ উপকারভোগীর মাঝে ১০ টাকা ধরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রয় শুরু হবে। এসব স্থানে ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানদের পাশাপাশি ট্যাগ অফিসার নিযুক্ত থাকবে।
সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত সাধারন মানুষের দূর্ভোগ লাগবের লক্ষে এ খাদ্য বান্ধব কর্মসৃচি চালু করেছে। যেখানে ইউনিয়ন পর্যায়ে দুইজন করে ডিলার নিয়োগ দেয়। সেখান থেকে সুবিদাভোগী কার্ডধারীরা ১০ টাকা ধরে ৩০ কেজি করে চাল ক্রয় করে। সারাদেশের ন্যায়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে প্রায় ২৪ জন ডিলার রয়েছে।
সুবিদাভোগী তালিকা অনুযায়ী রাজারগাঁও ইউনিয়নে ৬২৫ কার্ড, বাকিলা ইউনিয়নে ৬৭০ কার্ড, কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নে ৫১৫ কার্ড, কালচোঁ দক্ষিন ইউনিয়নে ৮০০ কার্ড, সদর ইউনিয়নে ৯৯১ কার্ড, বড়কূল পূর্ব ইউনিয়নে ৭১০ কার্ড, বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়নে ৪৬০ কার্ড, হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে ৫৮৫ কার্ড, হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নে ৪১০ কার্ড, গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নে ৫২৫ ও গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিন ইউনিয়নে ৫৭৫ এবং দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়নে ৪০০ কার্ড।
চাউলের ডিলার বাকিলা ইউনিয়নের ইসমাঈল হোসেন ও বড়কূল পূর্ব ইউনিয়নের সাইফুল ইসলাম ও বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়নের এমদাদ হোসেন বলেন, ১৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে আমরা চাল সংগ্রহ করবো। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ টাকা কেজি ধরে কার্ড প্রতি ৩০ কেজি চাল দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে সরকারি নিয়মনীতি অনুযায়ী কার্যক্রমের প্রস্তুতি গ্রহন শুরু করেছি।
বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ইউসুফ পাটোওয়ারী বলেন, আমার ইউনিয়নে ৬৭০ হতদরিদ্রের কার্ড রয়েছে। সুবিদাভোগীদের সুবিদার লক্ষে দুই ভাগে ডিলার নিয়োগ দিয়েছি।
বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা মনির হোসেন গাজী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার চলমান এ উদ্যোগকে যেন কোন ভাবে ম্লান করতে না পারে সে লক্ষ আমাদের শতভাগ চেষ্টা রয়েছে।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মানিক জ্ঞান চাকমা বলেন, বর্তমানে চালের দাম বেশী, কোন ভাবেই যেন ডিলারগন চাল বিতরনে অনিয়মের সুযোগ না পায়, সেই লক্ষ আমাদের থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, সরকার মহামারির মাঝেও হতদরিদ্রের এ চলমান কর্মসৃচি অব্যাহত রেখেছে। আমাদের ট্যাগ অফিসার উপস্থিত থেকে চাল বিতরন শেষ করার নির্দশনা রয়েছে।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১