বেসরকারি একটি এনজিও থেকে মোটা অংকের ঋণ করে সিএনজি কিনে ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ না হতেই চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যায় সিএনজিটি । এছাড়া চিরদিনের জন্য বিদায় হয়ে যায় সিএনজির সেই চালক। চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় রবিবার (৮ জুন) দুপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় এ ঘটনাটি ঘটে।
ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস ও চাঁদপুর গামী যাত্রীবাহী সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজির চালক সিদ্দিকুর রহমান (৫০) ও তপন চৌধুরী (৩৫) নামক যাত্রী নিহত হয়।
নিহত সিএনজি চালক ছিদ্দিকুর রহমানের জন্মস্থান মতলব উত্তর উপজেলার ছোট হলদিয়া গ্রামে।পারিবারিক জীবনে তিনি স্ত্রী ও দুটি কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। কিন্তু তার কন্যা সন্তান দুটিই শারিরীক প্রতিদ্বন্দ্বী। গতবছর তার একটুি ছেলে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।
বিস্তারিত- মতলব দক্ষিণে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত দুই, শিশুসহ আহত ৬
নিহত সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী জেসমিন আক্তার বলেন,গত প্রায় দেড় বছর আগে স্থানীয় ব্র্যাক নামক একটি এনজিও থেকে ৪ লাখ টাকা ঋণ উত্তোলন করে সিএনজিটি ক্রয় করেন।এখনো অর্ধেক টাকা পরিশোধ করতে পারেননি।দৈনিক সিএনজি চালিয়ে যা উপার্জন করা হয় তার বেশীর টাকা প্রতিবন্ধী মেয়েদের পেছনে ব্যয় করতে হয়।সংসারের খরচ করার পর যা আয় থাকে সেগুলো জমিয়ে মাস শেষে ব্র্যাকের কিস্তি পরিশোধ করতে হতো।ওইদিন উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম সিএনজিটি দূর্ঘটনায় চুর্ণ বিচুর্ণ হওয়া এবং স্বামীর মৃত্যুতে পরিবারটি এখন পথের ফকির হয়ে পড়েছে।
মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ সালেহ আহমেদ বলেন,দুর্ঘটনায় সিএনজিটি চুর্ণ বিচুর্ণ হওয়ার পর সিএনজির মালিক বেঁচে থাকলেও উপার্জনের একটা ব্যবস্থা করতে পারতো।তার পরিবারে আর্থিক সংকটেট পাশাপাশি দুটি প্রতিবন্ধী মেয়ে তাদের জীবনে বড় বোঝা হয়ে পড়েছে।
তারা যেন কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যপারে সর্বাত্বক সহযোগিতা করা হবে।তার স্বামীর লাশ হস্তান্তর করার পাশাপাশি আর্থিক সহযোগিতাও করা হয়েছে।
প্রতিবেদক: মাহফুজ মল্লিক, ৯ জুন ২০২৫