কচুয়ায় চলতি মৌসুমে আলুর বাম্পার ফলনে দাম পাওয়ার ব্যাপারে কৃষকরা খুবই আশাবাদী। চলতি সময়ে বৃষ্টিপাত ও প্রাকৃতিক কোনো সমস্যা না থাকায় সঠিক সময়ে ন্যায্য দাম পাওয়ায় খুশিতে আত্মহারা কৃষকরা। গত বছরের অক্টোবর ও নভেম্বরে আলুর আকাশ চুম্বি দাম দেখে কৃষকরা আলু চাষে লাভবান হবে বলে আশাবাদী হয়ে পূর্বের তুলনায় এ বছর বেশি পরিমানে আলু চাষ করেছে। কচুয়ায় গত বছর আলুর চাষ হয়েছে ২০৬০ হেক্টর জমি। চলতি বছরে চাষ হয়েছে ২৫৩০ হেক্টর।
উপজেলার উত্তর বুধুন্ডা গ্রামের আলু চাষী শহীদ উল্লাহ জানান, গত বছর এক একর বিশ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করি। ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর ৫ একর জমিতে আলুর চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন পাচ্ছি। এ পর্যন্ত অনেকটাই রোগমুক্ত অবস্থায় রয়েছে। আলু তোলা পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টি না হলে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবে।
চাঁনপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হালিম, আবুল কালাম ও নবীর হোসেন জানান, প্রতি ৬শতক জমিতে আলু চাষ করতে খরচ হয়েছে প্রায় চার হাজার টাকা। ৬শতক জমিতে ১২-১৩মন আলু পাচ্ছি। বর্তমানে আলু ১২-১৩ টাকা পাইকারী মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। ৬শতক জমির আলু বিক্রি করে প্রায় ২ হাজার টাকা লাভবান হচ্ছি।
মেঘদাইর গ্রামের আলু চাষী মো. ছাদেক আলী জানান, এ বছর কচুয়ায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আলু তোলা শুরু হলেও কোন কোন জমির আলু পুষ্ট হতে আরো ৭-৮দিন সময় লেগে যাবে। আকাশে মেঘ দেখলেই আমরা আৎকে উঠি। গত তিন বছর টানা আকস্মিকভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় হাজার হাজার মন আলু বিনষ্ট হওয়ায় আমরা আলু চাষীরা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। তাই এবছর বৃষ্টিপাত দেখা দেয়ার আগেই আলুর ফলন ঘরে তোলার চেষ্টা করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোফায়েল হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, কচুয়ায় এ বছর আলু চাষে কৃষকদের বেশ আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ বছর আলু গাছে তেমন কোন রোগ বালাই দেখা যায়নি। এখন বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেলে চাষকৃত ২হাজার ৫শ ৩০ হেক্টর জমিতে প্রায় ৬০ হাজার মেট্টিকটন আলু উৎপাদন হবে বলে আশা করছি। বৃষ্টিবাদল শুরুর পূর্বে আলী চাষিদের ঘরে আলু তুলতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু,৮ মার্চ ২০২১