চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১নং সাচার ইউনিয়নের রাগদৈল গ্রামের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য নুরুন্নাহার এর বাড়ীতে শত্রুতার জের ধরে বাড়ি-ঘরে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। রাগদৈল গ্রামের প্রতিপক্ষ মো. আলী আশ্বাদ, আরিফ হোসেন, আউয়াল, মো. দুলাল, শাহানাজ বেগম, আমির হোসেন, আবুল বাসার, মনির হোসেন গং দের বিরুদের এ অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ মহিলা ইউপি সদস্য মোছা: নুরুন্নাহার বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ গং বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
থানায় অভিযোগ ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাগদৈল গ্রামের অধিবাসী মৃত: মনতাজ উদ্দিনের ছেলে মো. শাহ-আলম ও তার স্ত্রী মোছা: নুরুন্নাহার কে বিগত আওয়ামী সকরারের দোষর আখ্যায়িত করে প্রতিপক্ষরা প্রভাব খাটিয়ে বেশ কয়েকমাস যাবৎ অত্যাচারসহ নানান ভাবে হয়রানীর চেষ্টা করছে। মহিলা ইউপি সদস্য মোছা: নুরুন্নাহার এর স্বামী মো. শাহ আলম গত ১০ জুন রাতে রাগদৈল বাজারে রিপনের দোকানের সামনে আসলে তাকে একা পেয়ে প্রতিপক্ষ গংরা মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। এসময় তিনি চাঁদা দিয়ে অস্বীকার করায় তাকে বেধম মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরদিন দুপুরে পূনরায় প্রভাবশালী আলী আশ্বাদ ও আরিফ হোসেনের নির্দেশে হামলাকারীরা অনাধিকার প্রবেশ করে ইউপি সদস্য নুরুন্নাহার বেগমের বাড়ীঘর ভাংচুর করে নগদ টাকা-মালামালসহ ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। বর্তমানে ইউপি সদস্য নুরুন্নাহার ও তার স্বামী শাহ-আলম আলী আশ্বাদ গংদের হুমকী-ধমকি ও হয়রাণীর কারনে বাড়ি-ঘরে ঠিকমত যেতে পারছেন না। তাছাড়া ইউপি সদস্য নুরুন্নাহার এর বিষয়ে ভুয়া লোকজনের মাধ্যমে ভাতার টাকা আত্মসাধের মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে। ইউপি সদস্য নুরুন্নাহার জানান, আমি নিরিহ মানুষ। স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে কোনো ভাবে বেঁচে আছি। প্রতিপক্ষরা অন্যায়ভাবে আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নানানভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করছে। আমি এলাকাবাসী ও প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চাই।
এ ব্যাপারে কচুয়া থানার ওসি মো. আজিজুল ইসলাম জানান, মহিলা ইউপি সদস্য নুরুন্নাহার এর বাড়ীতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি সত্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যদিকে অভিযুক্ত আলী আশ্বাদ এর বক্তব্য জানতে বার বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কচুয়া প্রতিনিধি, ১ জুলাই ২০২৫