চাঁদপুরের কৃতি সন্তান, সাবেক ছাত্র নেতা বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তফা খান সফরী বলেছেন, আমরা যারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশের সৈনিক, নেতৃত্বের কারণে কেউ কাউকে পছন্দ করা স্বাভাবিক। কিন্তু এই পছন্দ অপছন্দের কারণে কোনো নেতা বা কর্মী কাউকে অমুকের লোক এই অপবাদে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের দূরে রেখে দলের নেতৃত্ব দিবেন এমন মনমানসিকতা দূর করে সকলে দলের বা বিএনপির নেতাকর্মী এমন মন নিয়ে দলের নেতৃত্ব দিতে হবে।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন,ছাত্র জীবন থেকে এ দলের রাজনীতি করছি, তাই দলের রাজনীতি করতে গিয়ে ৩১ টি মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী হয়ে ফেরারী হয়ে জীবন যাপন করতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, যে পিতা মাতার সন্তান হিসেবে জন্ম নিয়েছি, সেই পিতা মৃত্যুর পথযাত্রী হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন। অথচ শুধু বিএনপি করার কারণে পিতার পাশে থেকে সেবা করার সূযোগটি পাইনি।
তিনি স্হানীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এটি আমার জন্ম স্হান এই মাটির সাথে আমার নাড়ীর সম্পর্ক। ছাত্র জীবন থেকে এখান থেকে ধাপে ধাপে অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে এ দলের রাজনীতি করছি। আমি উড়ে এসে জুড়ে বসি নাই। এটি স্মরণ রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এ দল একদিনে চাঁদপুরের বিএনপির ঘাঁটি তৈরি হয়নি। এ দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলের জন্য, আমাদের পূর্বসূরী যাদের বিএনপির জন্য অবদান রয়েছে, তন্মধ্যে মরহুম অ্যাডঃ শেখ মতিউর রহমান, খান দেলোয়ার হোসেন, আঃ হামিদ মাষ্টার, শফিউদ্দিন আহমেদ, নুরুল ইসলাম মৃধা, অএ অঞ্চলে সাবেক এমপি আলম খান, সাবেক এমপি জিএম ফজলুল হকের অবদানও কম নয়। অতএব কেউ যদি বলে কারো একক প্রচেষ্টায় দল শক্তিশালী হয়েছে, সেটি ভুল। উল্লেখিত নেতাদের দীর্ঘ সময়ের ত্যাগ তিতিক্ষাও স্মরণ করতে হবে।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য আরো বলেন, আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশের রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতি করছি। আমাদের নেতৃত্বে রয়েছেন আপোষহীন নেত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সন আমাদের মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া,বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান। অতএব এই দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কোনো চাঁদাবাজি, দখল দারিত্ব করা যাবে না। এদের স্থান এ দলে নাই। কারণ বিএনপি কে এদেশের জনগণ ভালোবেসে , বিএনপির পাশে রয়েছে, যারফলে হাজারো চেষ্টা করে দলের শীর্ষ নেতা থেকে তৃণমূল পর্যায়ে পর্যন্ত দলকে ফ্যাসিস্ট সরকার নানা ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ও জনগণের মন থেকে বিএনপির নাম মুছে ফেলতে পারেননি, এটি শুধু এ দেশের আপামর জনগণ বিএনপি কে ভালোবাসে বলে। অতএব জনস্বার্থে জনগণের সুখ দুঃখে তাদের পাশে থাকতে হবে । তাই আপনাদের প্রতি আহবান, কে কোন পর্যায়ের নেতা বা কর্মী সেটি বড় কথা নয়। আমরা সকলে বিএনপির নেতাকর্মী এই শপথ নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের স্বার্থে কাজ করি।
বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তফা খান সফরী গতকাল ৩০ নভেম্বর শনিবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের ১৪ নং ওয়ার্ড বাবুরহাট পশ্চিম বাজারে স্হানীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।
স্হানীয় প্রবীণ বিএনপি নেতা মোঃ আরশাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা অ্যাডঃ এ এইচ, এম আশ্রাফুল ইসলামের পরিচালনায় উক্ত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক রাফিউস শাহাদাত ওয়াসিম পাটোয়ারী, স্হানীয় বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন খান, জেলা জাসাসের সাবেক সভাপতি এমদাদুল হক মিলন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক কামরুজ্জামান হাছানাত, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক কামাল পাটোয়ারী, মতলব ডিগ্রী কলেজ ছাত্র দলের সাবেক নেতা কামাল হোসেন ঝুটন, স্হানীয় বিএনপি নেতা পলাশ কাজী, জেলা ছাত্রদল নেতা সুকুমার রায়সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মতবিনিময় সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলওয়াত করেন হাফেজ মাওঃ মোঃ মাঈনুদ্দিন।
উক্ত মতবিনিময় সভার পূর্বে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তফা খান সফরী বাবুরহাট বাজার ঘুরে ঘুরে সকল ব্যবসায়ীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সালাম জানিয়ে তাদের কাছে দোয়া চান।
এরপর বাবুরহাট বাজার সংলগ্ন খান বাড়ির মসজিদে আছর নামাজ আদায় করে স্হানীয় বিএনপি নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর মরহুম খান বাহাদুরের কবর জিয়ারত করেন।
এসময় তাঁর সাথে জেলা, সদর উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ৩০ নভেম্বর ২০২৪