শুরু হয়েছে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান। আজ ২২ রমজান শেষ হলেই আর মাত্র ৮ দিন পর অনুষ্ঠিত হবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল ফিতর। ঈদ উদযাপন করতে পছন্দের পোষাকটি কিনতে ক্রেতারা ঘুরছেন এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে।
প্রাণঘাতী ও মহামারী করোনাভাইরাসের ভীতি এবং গ্রীষ্মের প্রখর রোদ উপেক্ষা করে ফুটপাত থেকে শুরু করে দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় লেগেই থাকে। চাঁদপুর সদর, হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি, কচুয়া, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, ও হাইমচরের বড় ছোট মার্কেটগুলোর সর্বত্র দেখা গেছে উৎসবের আমেজ।
বিশেষ করে মহিলা ক্রেতাদের সংখ্যাই চোখে পড়ছে সব থেকে বেশি। তবে অন্যান্য বছরগুলোর মতো এ বছর মার্কেটগুলোতে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের নজরদারি লক্ষ্য করা যায় নি। তবে এ বছর নামিদামি তারকা ও সিরিয়ালের পোষাক নাম বলছে না ক্রেতারা। ক্রেতারা সামনে যে পোষাক পাচ্ছে তাই নিয়ে যাচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
ঈদকে সামনে রেখে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিপণী বিতানগুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের আনাগোনা। শহরের হাকিম প্লাজা, রূপসী মার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, রেলওয়ে হকার্স মার্কেট, চাঁদপুর টাওয়ার, মদিনা মার্কেট, মীর শপিং সেন্টার, পূরবী শপিং সেন্টার, ফয়সাল শপিং সেন্টারসহ বিভিন্ন বিপণী বিতান ঘুরে দেখা যায় এই দৃশ্য। ঈদের কেটাকাটা করতে অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসছেন মার্কেটে। ঘুরে ঘুরে খুঁজে নিচ্ছেন নিজের পছন্দের জামা-কাপড় ও জুতো, প্রসাধনীসহ প্রয়োজনীয় জিনিস।
ক্রেতা রাহেলা বেগম ও মামুন জানায়, মানুষ হুড়োহুড়ি করে মার্কেট করছে। তবে অন্য বছরের তুলনায় পোষাকের দাম নাগালের মধ্যেই রয়েছে।
মা বাবার কালেকশন কার্তিক চন্দ্র শীল জানান, লকডাউনের মধ্যে গত বছরের তুলনায় এ বছর বেচাকেনা ভাল। তবে চলতি বছরে বড় বড় তারকাদের পোশাকের চাহিদা নেই। ক্রেতারা সামনে যা পাচ্ছে তাই নিচ্ছে।
নবরুপা ফ্যাশনের কবির হোসেন জানায়, পোষাকের সাথে রং ম্যাচিং করে চুড়ি, গহনার চাহিদা রয়েছে। এ বছর আমাদের বেচাকেনা ভাল।
হর্কাস মার্কেট ব্যবসায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জানায়, সমিতির পক্ষ থেকে মার্কেটের দোকানদারদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য প্রতিদিন মাইকে ঘোষনা করা হয়।
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট, ৫ মে ২০২১