Home / জাতীয় / ঈদুল আযহায় রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৫ সেপ্টেম্বর
২১৮টি ট্রেন
প্রতীকী ছবি

ঈদুল আযহায় রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৫ সেপ্টেম্বর

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক | আপডেট: ০৭:৩২ অপরাহ্ণ, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহায় রেলের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর। রেলভবনে বৃহস্পতিবার রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘রেলের অগ্রিম টিকেট বিক্রি ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে চলবে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এ ছাড়া ফিরতি টিকেট বিক্রি ২৩ সেপ্টেম্বর শুরু হবে, চলবে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।’

প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে টিকেট বিক্রি শুরু হবে এবং একজন যাত্রীকে সর্বাধিক চারটি টিকেট দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে তিন দিন ও ঈদের পর সাত দিন ৫ জোড়া, ঈদের দিন শোলাকিয়া স্পেশাল ২ জোড়াসহ মোট সাত জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হবে।’

‘এ ট্রেনগুলো ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর, পার্বতীপুর-ঢাকা, ঢাকা-খুলনা, ভৈরব-কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটে চলবে’ বলেন মন্ত্রী।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ঈদের আগে অগ্রিম টিকেট বিক্রির কর্মসূচি তুলে ধরে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘২০, ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বরের যাত্রার টিকেট পাওয়া যাবে ১৫, ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর। এ ছাড়া ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বরের রেলের টিকেট পাওয়া যাবে ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর।’

ঈদের পর রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় অগ্রিম বিক্রির সূচিতে মুজিবুল হক বলেন, ‘২৭, ২৮, ২৯, ৩০ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবরের যাত্রার টিকেট পাওয়া যাবে ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর।’

বর্তমানে রেলওয়েতে দৈনিক ৮৮৬টি যাত্রীবাহী কোচ থাকে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদুল আযহা উপলক্ষে বহরে আরও ১৩৮টি কোচ যুক্ত হবে। বর্তমানে দৈনিক ১৯৯টি ইঞ্জিন সরবরাহ করা হলেও ঈদ উপলক্ষে আরও ২৫টি ইঞ্জিন সরবরাহ করা হবে।’

স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন সারাদেশে এক লাখ ৮০ হাজার টিকেট ইস্যু করা হয় জানিয়ে মুজিবুল হক বলেন, ‘ঈদ মৌসুমে অতিরিক্ত চাপ মোকাবেলায় প্রতিদিন আড়াই লাখ টিকেট বিক্রি করা হবে।’

ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় রোধে সতর্ক রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এবারও ঈদে ট্রেন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে রেলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। যাত্রী নিরপাত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ছাড়াও রেলওয়ের দুটি নিরাপত্তা বাহিনী (জিআরপি, আরএনবি) যাত্রীদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক কাজ করবে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত রেল সচিব ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫