বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য লায়ন মো: হারুনুর রশিদ বলেছেন, আমারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দলকরি এই জন্য আমরা গর্বিত। জিয়াউর রহমান বিশ্ব নেতাদের কাতারের নেতা ছিলেন। তার মন মানসিকতা, চালচলন, চিন্তাধারা সম্পন্ন আলাদা ছিল। উনার বচনভঙ্গিই ছিল অন্য রকম। যা দেখে দেশ ও বিদেশের মানুষ উনাকে ভালোবাসতেন। জিয়াউর রহমান থেকে শিখার অনেক কিছুই আছে। উনার দেখানো পথেই আমার হাঁটছি। উনার ভালোবাসায় সিক্ত হয়েই ১৭ বছর স্বৈরাচারের জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েও নেতাকর্মীরা টিকে ছিলো। এ থেকে বুঝা যায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কতোটা সাধারণ মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে পেরেছেন। তিনি কৃষক থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জন্য কাজ করে গিয়েছেন। উনি গ্রামগঞ্জে মানুষের সাথে গায়ে কাঁদা লাগিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কাজ করেছেন। আপনার একবার চিন্তা করে দেখুন উনি যেই সময় স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন ওই সময় পরিবার, পরিজন ছেলে সন্তানের কথা চিন্তা না করেই এ ঘোষণা দেন। যার জন্য আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। অথচ সেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে একটি দলে স্বাধীনতার ঘোষক মানতে রাজি ছিল না। আজ দেখুন আল্লাহ তায়ালার রহমতে ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে তারা ধংস হয়ে গেছে। গত ১৭-১৮ বছর আমাদের কিভাবে কেটেছে। আমার ঠিক মতো কারো সাথে কথা বলতে পারি নাই। আমাদের মোবাইল ফোন প্রতিনিয়ত ট্রেপ করে রেখেছে। বাড়িতে থাকতে দেয়নাই। আমাদের ঘর বাড়িতে হামলা ভাংচুর করেছে। আজ তাঁরা কোথায়। জুলুম নির্যাতনের করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। কি লাভ। তাইতো আমাদের তারুণ্যের অহংকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসার মানুষ তারেক রহমান বলেছেন মানুষকে ভালোবাসুন। তিনি তার পিতার আদর্শে নিজেকে লালিত করেছেন। যার জন্য আজও দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ জনপ্রিয় নেতা তিনি।
সোমবার (২০ জানুয়ারি ) রাতে ফরিদগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় মান্দারখীল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা সোহেল খানের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি একথা গুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলার মানুষকে বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দেন। শহীদ জিয়া দেশের মানুষকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর শিক্ষা দেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে চলতে হবে। কি পেলাম কি পেলাম না এ নিয়ে ভাববার সময় এখন নয়। এখন আমাদের প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে বিএনপির ৩১ দফার কথা এবং আমাদের অহংকার তারেক রহমানের আহ্বানের কথা পৌঁছিয়ে দিতে হবে। দলের দুর্দিনে যারা রাজপথে ছিলেন, নেতাকর্মীদের পাশে দাড়িয়েছেন, দল নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় গেলে অবশ্যই তাদের মূল্যায়ন করবে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার কর্মকাণ্ডকে মূল্যায়ন করেই আমাদের সামনের দিনগুলোকে এগিয়ে নিতে হবে। তবেই ৫ আগগষ্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর পর মুক্ত বাতাসে সকথা বলার যেই স্বাধীনতা পেয়েছি, তার পূর্ণতা পাবে। আর যদি পতিত আওয়ামী লীগের মতো আচরণ করি এবং দলের আদর্শ না মানি তবে আমাদের ভাগ্যে এর চেয়েও খারাপ কিছু লেখা হবে।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন বাবুল, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক নাছির পাওটয়ারী, সাবেক সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টিপু, উপজেলা যুবদলের সাবেব যুগ্ম আহবায়ক ফজলুর রহমাম ফজলু, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্মআহ্বায়ক এম এম টুটুল পাটওয়ারী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির কাজী, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্মআহ্বায়ক হারুন পাঠান, রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্মসম্পাদক ইউছুপ পাটওয়ারী, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্মআহ্বায়ক মানিক পাটওয়ারী, সেচ্ছাসেক দলের নেতা মাসুদ আলম, সাবেক যুবদ নেতা আব্দুল জলিল, সাবেক ছাত্রদল নেতা ইলিয়াস, মহিলা দলের নেত্রী পারুল বেগম। আলোচনা শেষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপন্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান,২১ জানুয়ারি ২০২৫