Home / জাতীয় / রাজনীতি / ইসিতে ১৪৪টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন
খসড়া তালিকা

ইসিতে ১৪৪টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন

আগামি সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যাবতীয় নির্বাচনি উপকরণ কেনাকাটা সম্পন্ন করতে চায় নির্বাচন কমিশন । এ লক্ষ্যে প্রয়োজনী সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। এ ছাড়া ইসি যেকোনো সময় ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার বিষয়ে আইনি জটিলতা এড়াতে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের প্রস্তাব করেছে। ১৪৪টি দল নিবন্ধনের আবেদন করায় দলীয় প্রতীকের সংখ্যাও বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে।

সংসদীয় আসনগুলোর সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজও দ্রুত শেষ করতে চায় ইসি। বৃহস্পতিবার ২৬ জুন নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে এসব তথ্য জানান।

সচিব বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচনি উপকরণ কেনা সম্পন্ন করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যেই প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। এ জন্য একটি টেন্ডারে কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে, সে কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।

ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যামান ভোটার তালিকা আইন অনুসারে নির্বাচন কমিশন প্রতিবছর ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে থাকে। ২ মার্চ ভোটার দিবসে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। সে ক্ষেত্রে আগামি ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হলে বিদ্যমান আইন যাতে বাধা হয়ে না দাঁড়াতে পারে সে জন্য নির্বাচন কমিশন আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে।

কমিশনের প্রস্তাব, ভোটার তালিকা আইনে সংশোধন এনে ‘২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ’ সময়টিকে ‘যৌক্তিক সময়’ দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে হবে এবং এই যৌক্তিক সময় নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন।

ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে পারে—এমন সম্ভাবনা মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশন এবার গত ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম তাদের তথ্য সংগ্রহ করে। সে সময়ই নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছিল,আইনি জটিলতা এড়াতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হবে।

গতকালের ব্রিফিংয়ে সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন,‘কোন সময়সীমা পর্যন্ত ভোটার করা হবে সেসংক্রান্ত বিদ্যমান আইনের পরিবর্তন আনার জন্য আমরা একটি প্রস্তাব করেছি। আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশন যৌক্তিক বিবেচনায় যে সময়টা সঠিক সেই সময় ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও চূড়ান্ত করবে।

যৌক্তিক বিবেচনাটা কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে করা হবে। যৌক্তিক বিবেচনাটা কিসের ভিত্তিতে হবে, এটা কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। তবে এটা স্বাভাবিকভাবে আসতে পারে যে কবে ভোট হবে এবং ভোটের আগে তফসিল ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কাটআউটি পয়েন্ট নির্ধারণ করা হবে। এসংক্রান্ত সংশোধনী প্রস্তাব আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।’

ইসি সচিব আরো বলেন,‘সংসদীয় আসনগুলোর সীমানা পুনর্নির্ধারণ সম্পর্কে আমাদের একটা কার্যক্রম চলমান আছে। ৭৬টি সংসদীয় আসন বিষয়ে কিছু আবেদন এসেছে। একই সংসদীয় আসনের বিষয়ে কিছু আবেদনে বলা হয়েছে, পরিবর্তন চাই। আবার কিছু আবেদনে বলা হয়েছে পরিবর্তন চাই না। এটা স্বাভাবিক। যেটা আমাদের কাছে যৌক্তিক মনে হবে আমরা সেটাই করব। এখনো এটা চূড়ান্ত হয়নি,পর্যালোচনা পর্যায়ে আছে।’ তিনি বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ তাড়াতাড়ি করতে হবে। সময় যত বেশি নেব ততই কাজ বাড়বে।’

রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন,‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য ২২ জুন পর্যন্ত আমাদের সময়সীমা নির্ধারণ করা ছিল। ১৪৭টি আবেদন আমরা পেয়েছি। এর মধ্যে তিনটি আবেদন পুনরায় পেশ করা হয়েছে। কাজেই দল হিসেবে ১৪৪টি দল নিবন্ধনের আবেদন করেছে।

এসব আবেদন পর্যালোচনা করার জন্য আমরা একটি চেকলিস্ট করেছি। এ বিষয়ে কাজ করার জন্য ২০ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছি। আমরা চেষ্টা করছি প্রাথমিক যাচাই-বাছাইটা দ্রুত শেষ করতে। তারপর পরবর্তী কার্যক্রমে যাওয়া হবে।’

তিনি বলেন,‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের সঙ্গে প্রতীকেরও একটি সম্পর্ক আছে। আমরা এখন প্রতীকের সংখ্যা বাড়াব। এ বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। প্রতীকের সংখ্যা বাড়াতে হবে এ কারণে,১৪৪টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন করেছে। এসব দল সবাই নিবন্ধন পেলে ১৪৭টি প্রতীক লাগবে। সে জন্য আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। নতুন প্রতীক খুঁজছি।

তিনি বলেন,‘দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের বিষয়টা আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে।’

২৭ জুন ২০২৫
এজি