Home / সারাদেশ / ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার স্তর ২০২১ খ্রীষ্টাব্দে

৮ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার স্তর ২০২১ খ্রীষ্টাব্দে

৮ম পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার স্তর উন্নীত করার কাজ শেষ হবে ২০২১ খ্রীষ্টাব্দে । ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে ষষ্ঠ শ্রেণিতে এ স্তর উন্নয়ন শুরু হবে। পরের বছর ২০২০ খ্রিস্টাব্দে এটি সপ্তম শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে। জাতীয় শিক্ষানীতিতে ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এ স্তরে উন্নয়নের কাজ শেষ করার নির্দেশনা আছে।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় অষ্টমে প্রাথমিক স্তর উন্নীত করতে ৫টি কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হয়। এগুলো হচ্ছে স্কুল ম্যাপিং, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির যোগ্যতাভিত্তিক কারিকুলাম তৈরি, যে সব স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চালু করা হবে সেগুলোর অবকাঠামো নির্মাণ, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানে সক্ষম যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ এবং স্কুল ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গিয়াসউদ্দিন আহমেদ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক স্তর উন্নয়ন একটি মৌলিক কাজ। শিক্ষায় নতুন স্তর বিন্যাসের সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত। সেগুলোর জন্য শিক্ষানীতিতেই অনেক ব্যয়ের কথা আছে। আমরা আপাতত তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির অধীনে কাজ শুরু করব।

জানা গেছে, কাজ বাস্তবায়নে সারা দেশে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাধ্যমে স্কুল ম্যাপিং করা হবে। এর মাধ্যমে কোথায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বা মাদ্রাসা আছে তা শনাক্ত করা হবে। আগামী ২ বছরের মধ্যে স্কুল ম্যাপিং শেষ হবে। এজন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে ৫ কোটি এবং পরবর্তী অর্থবছরে পরবর্তী ৫ কোটি টাকা প্রদান করা হবে ব্যানবেইসকে।

প্রাথমিক স্তর পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কয়েকযুগ যাবত প্রান্তিক যোগ্যতা ভিত্তিক কারিকুলাম চালু আছে। ষষ্ঠ থেকে পরবর্তী স্তর শিখনমূলক কারিকুলামে পড়ানো হয়। তাই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক উন্নীত করা হলে যোগ্যতাভিত্তিক কারিকুলাম দরকার। তাই বিদ্যমান কারিকুলামে সংশোধন ও পরিবর্তনে কমিটি করা হবে। এবারের এই কাজ প্রাথমিক মন্ত্রণালয়ই করতে চায়।

দেশে বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে হাজারখানেক প্রাথমিক স্কুলে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চালু আছে। স্কুল ম্যাপিংয়ে যদি আরও কোনো স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চালু করতে হয়, তাহলে সেগুলোর অবকাঠামো বা ক্লাসরুম নির্মাণ করা হবে। এজন্য বাজেট প্রণয়ন করা হবে।

এ দিকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের উপযোগী শিক্ষকের অভাব বর্তমানে প্রাথমিক স্কুলে আছে বলে সূত্র জানিয়েছে। স্কুলে বর্তমানে উচ্চশিক্ষিত শিক্ষক বাড়ছে। কিন্তু অনেকেই বিসিএসসহ অন্য চাকরির ধান্দায় থাকেন। যে কারণে তাদের অনেকেই পাঠদানে মনোযোগী নন। তাছাড়া অষ্টম শ্রেণীর মতো স্তরে পাঠদানে স্থায়ীভাবে উচ্চশিক্ষিত শিক্ষক দরকার। এজন্য নতুন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালাও করতে হবে। প্রস্তাবিত নীতিমালায় শিক্ষক-শিক্ষার ন্যূনতম ডিপ্লোমা ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করার চিন্তভাবনা আছে।

নিউজ ডেস্ক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬: ৩০ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০১৭,বৃহস্পতিবার
এজি

Leave a Reply