Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জ নৈশপ্রহরী ‘আত্মহত্যা’ : মোটা অংকে রফাদফার চেষ্টা
হাজীগঞ্জ নৈশপ্রহরী ‘আত্মহত্যা’ : মোটা অংকে রফাদফার চেষ্টা

হাজীগঞ্জ নৈশপ্রহরী ‘আত্মহত্যা’ : মোটা অংকে রফাদফার চেষ্টা

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ রয়েল মার্কেটের নৈশপ্রহরী আলম চুরির অপবাদ সইতে না পেরে গলায় ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে হাজীগঞ্জ থানা একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে ঘটনা দামাচাপা দিতে একটি পক্ষ মোটা অংকের টাকার বিনিময় রফাদফার চেষ্টায় অব্যাহত রয়েছে।

মার্কেট ও থানা সৃত্রে জানা যায়, হাজীগঞ্জ বাজারের রয়েল মার্কেটে গত (১০ সেপ্টেম্বর) রোববার রাতে জোনাকি শপিং সেন্টারে চুরির ঘটনা ঘটে। মার্কেটের ভেতরে পাহারাদার থাকা স্বত্ত্বেও দোকানের তালা ভেঙ্গে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সকালে দোকান খুলতে এসে দোকানের মালিক প্রাণকৃষ্ণ মনা দেখতে পায় দোকানের তালা ভাঙ্গা। তখনই তারা মার্কেটের পাহারাদারকে ডাক দেয়। সে সময় নৈশপ্রহরী মার্কেটে ছিলো না।

গত (১১সেপ্টেম্বর) সোমবার রাত ৯ টায় মার্কেটের পাহারাদার ও তার স্ত্রীকে রয়েল মার্কেটের মালিক আলহাজ্ব আবদুল লতিফ মিয়া বিভিন্ন মাধ্যমে খবর দিয়ে মার্কেটে আনে। সেখানে মার্কেটের সকল দোকানদার মালিকদের উপস্থিতি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

ওই সময় হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির কয়েকজন নেতাও উপস্তিত ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নৈশ প্রহরী আলমকেই চুরির জন্য দায়ী করলে সে বার বার তা প্রত্যাখান করে বলে ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি চোর নই।’

তাদেরকে বিশ্বাস করাতে না পেরে এক পর্যায় নৈশ প্রহরী আলম মার্কেটের উপরে উঠে তার রুম থেকে দারালো চুরি এনে শালিশদারদের সামনে নিজ গলায় পোচ বসিয়ে দেয়। সবাই এ ঘটনা দেখে হতভাক হয়ে পড়ে এবং নৈশ প্রহরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়।

পরে মার্কেটের প্রহরী আলম মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন। সে হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার মকিমাবাদ গ্রামের আনচার আলীর পুত্র।

এ ঘটনায় গত (১৪সেপ্টেম্বর) বুধবার নিহত নৈশ প্রহরী আলমের স্ত্রী আলেয়া বেগম বাদী হয়ে থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন । যার মামলা নং ১২।

আলমের পরিবারের রুমী নামের এ মহিলা বলেন, তাকে ভয় দেখিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যেই জোনাকি শপিং সেন্টারের মালিক মনা এই ঘটনা সাজিয়েছে। ঘটনার সময় তারা আলমকে শুধু পুলিশের ভয় দেখিয়ে ছিল । টাকা যদি চুরি হয়ও তাহলে তার দোকানের লোকজনই জানতে পারবে। এর মধ্যে কোন রহস্য লুকিয়ে আছে।

নিহত নৈশ প্রহরীর পরিবারকে পৌরসভার প্যানেল মেয়র রায়হানুর রহমান জনির মাধ্যমে তিন লক্ষ টাকার রফাদফার চেষ্টা চলছে বলে জানা যায়। এদিকে ঘটনা দামাচাপা দিতে এ যাবৎ ১৫ লক্ষ টাকার উপরে বানিজ্য হয়েছে বলে হাজীগঞ্জ বাজারে গুঞ্জন উঠেছে।

হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এক সাংবাদিক পুলিশকে খবর দেয়। তখন আমি উপ-পরিদর্শক শাহজাহান ভূঁইয়াকে পাঠাই। কিন্তু শালিশদারগণ দায়িত্ব নিয়ে পুলিশকে বিদায় করে দেয়। কিন্তু তার পরে কিভাবে এ ঘটনাটি ঘটলো তা বলতে পারবো না তবে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেছে যার তদন্তের দায়িত্ব আমি নিজেই নিয়েছি।’

এ সংক্রান্ত আগের প্রতিবেদন….হাজীগঞ্জে ‘চুরির অপবাদে’ নৈশ প্রহরীর ‘আত্মহত্যা’

হাজীগঞ্জ নৈশপ্রহরী ‘আত্মহত্যা’ : মোটা অংকে রফাদফার চেষ্টা

About The Author

প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়, হাজীগঞ্জ

Leave a Reply