Home / চাঁদপুর / স্ত্রী-সন্তান হত্যার দায়ে চাঁদপুরে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
স্ত্রী-সন্তান হত্যার দায়ে চাঁদপুরে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

স্ত্রী-সন্তান হত্যার দায়ে চাঁদপুরে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

চাঁদপুরে স্ত্রী ও সন্তান হত্যা অপরাধে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় স্বামী নাজমুল হাসান (৩৫) কে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত।

চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. সালেহ উদ্দিন আহমদ এই রায় দেন।

মতলব দক্ষিণ উপজেলার আশ্বিনপুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী হোসনে আরা (২৪) ও শিশু কন্যা নাজনিন (৯মাস) কে নাজমুল হাসান ২০১০ সালে হত্যা করে।

নাজমুল হাসান মতলব দক্ষিন উপজেলার আশ্বিনপুর গ্রামের বড় বৈদ্য বাড়ীর নুরুল আমিনের ছেলে। হোসনে আরা পাশ্ববর্তী এলাকার আবুল কাশেমের মেয়ে।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানাযায়, ২০১০ সালের ২৪ জুলাই হোসনে আরার পিতা আবুল কাশেম তার মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার কারণে মতলব দক্ষিণ থানায় নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী করে। সেই আলোকে পুলিশ ওইদিনই নাজমুলকে আটক করলে সে স্ত্রী সন্তানকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং পুলিশ তাকে পরদিন আদালতে প্রেরণ করে।

সরকার পক্ষের আইনজীবী আমান উল্যাহ জানান, ‘২০১০ সালের ১৯ জুলাই রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় নাজমুল নিজ ঘরে প্রথমে স্ত্রীকে হত্যা করে। শিশু কন্যা কান্নাকাটি করলে তাকেও একই কায়দায় হত্যা করে বাড়ীর পাশ্ববর্তী একটি পরিত্যক্ত ঘরে মাটির নীচে পুতে রাখে। ২৪ জুলাই সাধারণ ডায়েরির আলোকে পুলিশের কাছে নাজমুল তথ্য প্রদান করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু’টি মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।’

সরকার পক্ষের আইনজীবী আরো জানান, ‘তদন্তকারী কর্মকর্তা মতলব দক্ষিণ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান একই সালের ৩১ জুলাই আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর মামলাটি চলমান অবস্থায় আদালত ১৬ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আদালত স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামী নাজমুল হাসান অপরাধ স্বীকার করায় ৩০২ ধারায় মৃত্যুদন্ড এবং ৫হাজার টাকা জরিমানা করেন। আসামী নাজমুল হাসান এর উপস্থিতিতেই আদালত বিচার কার্য সম্পন্ন হয়।’

সরকার পক্ষের সহকারী আইনজীবী (এপিপি) ছিলেন মোক্তার হোসেন অভি এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী (স্টেট ডিফেন্স ল’ইয়ার) ছিলেন মো. তাফাজ্জল হোসেন।

প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ৩০ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, মঙ্গলবার
ডিএইচ

Leave a Reply