Home / আন্তর্জাতিক / স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক ভিডিওচিত্র সম্প্রচার !
স্ত্রীর সঙ্গে নিজের শারীরিক সংসর্গের ভিডিওচিত্র

স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক ভিডিওচিত্র সম্প্রচার !

স্বামী-স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতা সরাসরি সম্প্রচার, স্বামী গ্রেপ্তার !

স্ত্রীর সঙ্গে নিজের শারীরিক সংসর্গের ভিডিওচিত্র পর্নো সাইটে লাইভ সম্প্রচার করার অভিযোগে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে।

আজ শুক্রবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে ওই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে বিচারিক হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে নিজের ল্যাপটপ থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে নিজের শারীরিক সংসর্গের ভিডিওচিত্র পর্নো সাইটে লাইভ সম্প্রচার করেছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তির স্ত্রীও চাকরিজীবী। ২৮ বছর বয়সী ওই নারী গত বছর এক বন্ধুর কাছে জানতে পারেন তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সংসর্গের ভিডিওচিত্র পর্নো সাইটে আপলোড করা আছে। নিজের স্বামী এ কাজ করতে পারেন, তা তিনি ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি। পরে গত বছরের নভেম্বরে তিনি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ করেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিষয়টির তদন্তে নেমে গত সপ্তাহে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি স্বীকার করেছেন, অর্থের বিনিময়ে তিনি নিজের ওই ভিডিওচিত্র পর্নো সাইটে লাইভ সম্প্রচার করেছিলেন। পরে ওই সাইট থেকে তা অন্যান্য পর্নো সাইটে আপলোড করা হয়। ভিডিওচিত্র দেখে ও অভিযোগকারীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানিয়েছে, ওই দম্পতির শোয়ার ঘরেই একটি ল্যাপটপ থেকে ভিডিওচিত্রটি ধারণ করে তা লাইভ দেখানো হয়েছিল।

পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় শোয়ার ঘরে থাকা স্বামীর ওই ল্যাপটপে সিনেমা চলছিল। স্ত্রী বুঝতে পারেননি যে, একই সময়ে ল্যাপটপের ক্যামেরা দিয়ে তাঁদের ব্যক্তিগত অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিওচিত্র ধারণ করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তি তাঁর ল্যাপটপে সিনেমা চালিয়ে গোপনে ওয়েব ক্যামেরা অন রেখেছিলেন। স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত অন্তরঙ্গ মুহূর্তের সময় তিনি কৌশলে স্ত্রীকে মনিটরের দিকে রেখেছিলেন। যাতে পর্নো সাইটের দর্শক তাঁর স্ত্রীকে স্পষ্ট দেখতে পারেন। গ্রেপ্তারের পর ওই ব্যক্তির ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।’

হায়দরাবাদ পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের সহকারী কমিশনার এস জয়রাম বলেন, ‘ওই ব্যক্তির ল্যাপটপ ঘেঁটে দেখা গেছে, তিনি অসংখ্য পর্নো সাইট ব্রাউজ করেন। পর্নো স্ট্রিমিং সাইট ও এসকর্ট সার্ভিস সাইটে ওই ব্যক্তির নামে অ্যাকাউন্টও রয়েছে।’

এস জয়রাম আরও বলেন, ‘ওই নারী একটি আইটি ফার্মে চাকরি করেন। গত নভেম্বরে কেরালার এক বন্ধু তাঁকে ফোনে পর্নো সাইটে ব্যক্তিগত অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিওচিত্রটির বিষয়ে জানান। তদন্তে দেখা গেছে, ওই ভিডিওচিত্রটি কেরালার থিসারের একটি নির্দিষ্ট আইপি অ্যাড্রেস থেকে ডাউনলোড করা হয়েছে। ওই আইপি অ্যাড্রেসের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তিনি একটি পর্নো সাইট থেকে তা ডাউনলোড করে পরে অন্যান্য সাইটে তা আপলোড করেছেন। ভিডিওচিত্রটি নভেম্বরে লাইভ সম্প্রচার করা হয়েছিল।’

এস জয়রাম বলেন, ওই দম্পতির শারীরিক সংসর্গের সময় ঘরে-বাইরের কারও ঢোকার কোনো উপায় নেই। এ কারণে শুরুতেই তাঁর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে তিনি স্বীকার করেন। তাঁর ল্যাপটপেও প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনি ৩০ হাজার রুপির বিনিময়ে ওই কাজ করেছিলেন।

হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই প্রকৌশলী স্বীকার করেছেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। বর্তমানে তিনি এসকর্ট সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময়০৬:০৫ পি.এম, ১৫ এপ্রিল ২০১৭,শনিবার
ইব্রাহীম জুয়েল

Leave a Reply