Home / আন্তর্জাতিক / বড় ধরনের সাইবার হামলার শিকার হলো বিশ্ব
বড় ধরনের সাইবার হামলার শিকার হলো বিশ্ব

বড় ধরনের সাইবার হামলার শিকার হলো বিশ্ব

আবারও বড় ধরনের সাইবার হামলার শিকার হলো বিশ্ব। বিভিন্ন দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা মঙ্গলবার এই হামলার শিকার হয়েছে। গত মাসেই একযোগে ৭৪টি দেশে সাইবার হামলার পর এটাই সবচেয়ে বড় হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। এবারও ওয়ানাক্রাই র‍্যানসমওয়্যার দিয়ে এই হামলা হয়েছে।

হামলার শিকার হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞাপনী সংস্থা ডব্লিউপিপি। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের আইটি সিস্টেম র‍্যানসমওয়্যারের মাধ্যমে হামলার শিকার হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের পুরো আইটি সিস্টেম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই হামলার শিকার হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি ও রাজধানী কিয়েভের প্রধান বিমানবন্দরও হামলার মুখে পড়েছে। তারাই মূলত হামলার বিষয়টি প্রথম প্রকাশ করে। এই হামলার কারণে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমভিত্তিক সেন্সরগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা ম্যানুয়ালি পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে। ইউক্রেনে এই হামলার শিকার হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক, উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আনতোনভ ও দুটো ডাকসেবা রয়েছে।

রাশিয়ার তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রসনেফত ও ডেনমার্কের জাহাজ কোম্পানি মায়েরস্ক জানিয়েছে, তাদের যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের কার্যালয়সহ অন্যান্য কার্যালয়ের আইটি সিস্টেমে বিপত্তি দেখা দিয়েছে।

স্পেন, রোমানিয়া, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, ডেনমার্ক ও ফ্রান্সে এই হামলা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

বিশিষ্ট কম্পিউটার বিজ্ঞানী প্রফেসর অ্যালান উডওয়ার্ড বলেন, ‘গত বছর যে র‍্যানসমওয়্যার হামলা চালানো হয়েছিল, আজকের হামলা তারই আরেক রূপ বলে মনে হচ্ছে।

নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান রেকর্ডেড ফিউচার এর মুখপাত্র আন্দ্রেই বারিসেভিচ বিবিসিকে বলেন, গত ১২ মাসে তারা অনেক ফোরামেই ম্যালওয়্যার দেখেছেন। এই হামলা বন্ধ হওয়ার নয়। কারণ সাইবার-চোররা এটাকে অনেক লাভজনক মনে করে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান তাদের ডেটা ফিরে পেতে ১০ লাখ ডলার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। একজন সাইবার অপরাধীর জন্য এই অঙ্ক অনেক।’

বিশেষজ্ঞরা বলেন, র‍্যানসমওয়্যার দিয়ে (ওয়ানাক্রাই বা আরও একাধিক নামে পরিচিত) কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। র‍্যানসমওয়্যার হচ্ছে পরিচিত ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্রোগ্রাম। কম্পিউটার বা মুঠোফোনের মতো যন্ত্রের মধ্যে এই সফটওয়্যার ঢুকিয়ে দিতে পারলে যন্ত্রটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়া যায়। এ কাজ করে তা থেকে মুক্তির জন্য অর্থ দাবি করে হ্যাকাররা।

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০১:২০ এ.এম, ২৮ জুন ২০১৭,বুধবার
ইব্রাহীম জুয়েল

Leave a Reply