Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব দক্ষিণ / ‘সম্পত্তি লিখে না দেয়ায়’ মা-বাবাকে প্রতিনিয়ত মারধর
‘সম্পত্তি লিখে না দেয়ায়’ মা-বাবাকে প্রতিনিয়ত মারধর

‘সম্পত্তি লিখে না দেয়ায়’ মা-বাবাকে প্রতিনিয়ত মারধর

‘সম্পত্তি লিখে না দেয়ায়’ মতলব দক্ষিণ উপজেলার দগরপুর গ্রামে মা-বাবা ও ছোট বোনকে প্রতিনিয়ত মারধর করার অভিযোগ উঠেছে প্রবাস ফেরত এক যুবকের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত যুবকের ওই এলাকার আবদুল গফুরের ছেলে গিয়াস উদ্দিন।

সর্বশেষ ঘটনায় গত ৫ মে সকাল ১০টায় ছেলে গিয়াস উদ্দিন ও তার সহযোগীরা মারধর করেছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

আহতরা হলেন আ: গফুর (৬৫) পিতা মৃত আ: জব্বার প্রধান, সালেহা (৫৫) স্বামী আ: গফুর, আখি আক্তার (১৯) স্বামী মো: মিজান বেপারী, গিয়াস উদ্দিন (৪৩) পিতা আ: গফুর।

আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।

আবদুল গফুর মিয়া জানান, ‘জমি লিখে দেইনা বলে ছেলে আমাদেরকে কথায় কথায় মারধর করে। গত ১৫/২০দিন আগেও মেরেছে। তাকে আমি (গিয়াস উদ্দিনকে) ১৮ শতক জমি বিক্রি করে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। দীর্ঘদিন বিদেশ করে আমাদের জন্য কিছুই করে নাই। আমার আর ও দুটি ছেলে আছে। তাদেরকে ও সে মারধর করে। আমি একটি ভাংঙ্গা ঘরে থাকি। আমার ছোট ছেলে ঢাকা কাজ করে, ভয়ে আসতে পারে না আমাদের দেখতে। হাসপাতালে তার শশুর বাড়ীর লোক দিয়ে আমাদেরকে ভয় দেখায়।’

আহত মা সালেহা কান্না কন্ঠে বললেন, ‘ওয় আমারে কতবার যে মারছে আল্লাহই যানে, খাওন পরন দেয় না জমি লেইখা দেওনের জন্য মারে। আমি বিচার চাই।’

আখি আক্তার বলেন, ‘আমাকে যে ভাবে মারছে সে আর ভাই হতে পারেনা। কুকুরকে ও মানুষ এভাবে মারেনা। আমার ছোট ভাই ঢাকা থেকে ভয়ে আমাদের দেখতে আসতে পারে না, তার শশুর বাড়ির লোকজনের ভয়ে।’

প্রত্যক্ষদর্শী সামসুল হক ও মো: জাকির হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, ‘প্রায়ই গিয়াস উদ্দিন তার বাবা ও মাকে মারধর করে। ১৫/২০দিন পূর্বেও এমন এক ঘটনা ঘটেছিলো। সেইটার বিচারের সময় গিয়াস উদ্দিন ও তার লোক জন বাঁশ নিয়ে আসে মারা মারি করতে। পরে সেই শালিস বৈঠক হয় নাই।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আমি কাউকে মারি নাই, বরং আমাকে তারা মেরেছে।’

মতলব দক্ষিণ থানার অফিসাস ইনর্চাজ মো: কুতুব উদ্দিন বলেন, সকালে আহতরা এসেছিলো আমি তাদের দেখেছি। চিকিৎসা নেয়ার জন্য বলেছি, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেবো।

প্রতিবেদক- পলাশ রায়
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১২: ৪০ এএম, ৭ মে ২০১৭, রোববার
ডিএইচ

Leave a Reply