Home / চাঁদপুর / সংবর্ধিত হলেন জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত চাঁদপুরের ছয় কর্মকর্তা
chandpur
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (দলনেতা) আব্দুস সবুর মন্ডল, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মোহাম্মদ আবদুল হাই, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. এএসএম দেলওয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা।

সংবর্ধিত হলেন জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত চাঁদপুরের ছয় কর্মকর্তা

সরকারের জনপ্রশাসন পদক প্রাপ্ত চাঁদপুরের ছয় সরকারি কর্মকর্তাকে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে চতুরঙ্গ সাংস্কৃতি সংগঠনের আয়োজনে ৯ম ইলিশ উৎসবে এ সংবর্ধনা জানানো হয়।

এরা হলেন, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হাই, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মাসুদ হোসেন, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এএসএম দেলওয়ার হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা।

অতিথিদেরকে সংবর্ধিত ক্রেস্ট তুলে দেন সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাড বিনয় ভূষণ মজুমদার, উৎসবের আহ্বায়ক কাজী শাহাদাত, উপদেষ্টা পিযূষকান্তি বড়ূয়া ও অজিত সাহা প্রমুখ।

সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা সবাই চতুরঙ্গের কাছে ঋণী। কারণ গত ৯ বছর ধরে চতুরঙ্গ ইলিশ রক্ষার আন্দোল করে আসছে। যার ফলে আমাদের এ আন্দোলন সহজ হয়েছে। সরকার ইলিশ রক্ষার আন্দোলনে বহু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সরকার অনেক অর্থ ব্যায় করছে। চতুরঙ্গের এ ইলিশ উৎসব জাতির কাছে নতুন এক মেসেজ নিয়ে এসেছে। তা হলো উৎসব ও সমাজিক আন্দোল গড়ে তোলা যায়। সজনগণকে সচেতন করার ক্ষেত্রে চতুরঙ্গ অনেক অবদান রয়েছে। এজন্যে চতুরঙ্গর সাথে জড়িত সকলকে আমরা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা যখন ইলিশের দাবি করার প্রায় একবছর পরে অনেক জেলা ইলিশের বাপ-মা দাবি করছে। আমরা তাদের বলেছি চাঁদপুরে যদি ইলিশের সঠিক যতœ নিতে পারি তবে ইলিশ সংশ্লিষ্ট জেলায় ইলিশে সয়লাভ হবে। চাঁদপুরে যদি ইলিশ ডিম দিতে এবং জাটকা ইলিশ বড় হতে না পারতো তবে, সাগরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা প্রচুর ইলিশ ধরা পরতো না। আমরা ইলিশের যতœ নিয়েছি বলেন বিগত ১শ’ বছরের মধ্যে গত তিন বছর ধরে দেশের নদ-নদীতে এতো ইলিশ ধরা পরেছে। আমি যদি চাঁদপুরে থাকি তবে আগামি বছরেও ইলিশ রক্ষার আন্দোল কঠোর ভাবে চালিয়ে যাবো। যদি আমরা সেটি সফল হই তবে আমি বিশ্বাস করি আগামিতে মানুষ ইলিশ খেয়ে শেষ করতে না পেরে সুটকি দিবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের ইলিশ নিয়ে সরকার গর্ব করে। কারণ বাংলাদেশের নিজস্ব পন্য হিসে বিশ্ব জিআই পন্য তালিকায় ইলিশ অন্তভূক্ত হয়েছে। এ ইলিশ আমাদের ধন্য করেছে, আমাকেও ব্যক্তিগতভাবেও ধন্য করেছে। এই ভার আমাকে ব্যাক্তিগতভাবেও সারাজীবন বহন করতে হবে। আমি আশা করবো চতুরঙ্গ সবসময় এই কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম
: : আপডেট, বাংলাদেশ ১১ : ০০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ শনিবার
এইউ

Leave a Reply