Home / উপজেলা সংবাদ / চাঁদপুর সদর / শ্রেণিকক্ষ সংকটে ব্যাহত দিঘলদী সপ্রাবির শিক্ষা কার্যক্রম
শ্রেণিকক্ষ সংকটে ব্যাহত দিঘলদী সপ্রাবির শিক্ষা কার্যক্রম
ফাইল ছবি

শ্রেণিকক্ষ সংকটে ব্যাহত দিঘলদী সপ্রাবির শিক্ষা কার্যক্রম

শ্রেণিকক্ষ সংকটের মধ্যদিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে মতলব উপজেলার মধ্য দিঘলদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। যেখানে ৪ টি শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন, সেখানে রয়েছে মাত্র দুটি।

আর এ শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে এখন পাশের মুক্তবকে শ্রেনি কক্ষে হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু শ্রেণিকক্ষ সংকটই নয়, বিদ্যালয় ভবনটিও ঝুঁকিপূর্ণ।

চাঁদপুর মতলব উপজেলার মধ্য দিঘলদী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ৩ টি শ্রেণিকক্ষ নিয়ে বহুবছর আগে বিদ্যালয় ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটি শ্রেণিকক্ষ পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কক্ষ থাকলেও ওই কক্ষের ভেতর কোন শ্রেণির ক্লাস নেয়া হয়নি। কক্ষের দরজায় তালা ঝুলে আছে। এ বিদ্যালয়টিতে সর্বমোট বিভিন্ন শ্রেণির ১ শ ১০ জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। যাদেরকে পাঠদান করাতে হলে মোট ৪ টি শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন। অথচ দেখা যায় যেখানে ৪ টি শ্রেণিকক্ষ প্রয়োজন সেখানে রয়েছে মাত্র ৩ টি।

যারমধ্যে একটি কয়েকমাস ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। বাকি দুটি শ্রেণিকক্ষ থাকলেও সেগুলো তেমন উন্নত নয়। আর এ শ্রেণিকক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়ার জন্য বিদ্যালয়ের পাশের মক্তবকে বেছে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গত দু’ আড়াই মাস ধরে ওই মুক্তবে প্রথম শ্রেণি ও প্রাকপ্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হয় বলে জানান শিক্ষরা। মোট ৬ জন শিক্ষক ধারা বিদ্যালয়টির পাঠদান পরিচালনা করে থাকে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৯৪৮ সালে গ্রামের মানুষ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৩ সালে এটিকে সরকারি করা হয় এবং ১৯৯৫ সালে ৩ টি শ্রেণিকক্ষ নিয়ে বিদ্যালয়টির ভবন নির্মাণ করা হয়। তারপর থেকে আজো ভবনটির কোন পুনঃসংস্কার করা হয়নি।

কক্ষগুলো ঘুরে দেখা যায়, ভবনটির একাধিক পিলারে ফাটল ধরেছে। অনেকাংশে আস্তর খসে পড়ছে। আর যে শ্রেনিকক্ষটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে, সেটির অধিকাংশস্থানে ছাদের পাকা ঢালাই উঠে গিয়ে রড দেখা যাচ্ছে। এ কারনে ওই শ্রেণিকক্ষটি আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিদ্যালয়টির শ্রেনিকক্ষ সংকট হওয়াতে গত কয়েকমাস ধরে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। গ্রামের কোমলমতি শিশুদের সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে পাঠদান করার জন্য এ বিদ্যালয়টির আরো দুটি শ্রেনিকক্ষ অতি জরুরি হয়ে পড়েছে।

এ ছাড়াও যাতে ঝুঁকিপূর্ন ভবনে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান করাতে না হয়, সেজন্য বিদ্যালয় ভবনটি নতুন করে নির্মান করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকাবাসি।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সোনিয়া আক্তার চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘গত বছরের নভেম্বর মাসে বিদ্যালয় ভবনটি নতুন করে নির্মান করার জন্য চাঁদপুর সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।’

ভবনটি নতুন করে পুনঃসংস্কার করার জন্য সেটি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে তিনি জানান।

কবির হোসেন মিজি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১ : ৫৯ পিএম, ২২ মে ২০১৭, সোমবার
ডিএইচ

Leave a Reply