Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ১০ নং মহাবিপদ সংকেত
weather
ফাইল ছবি

চাঁদপুরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ১০ নং মহাবিপদ সংকেত

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোরা ক্রমাগতভাবে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে।

আবহাওয়া বিভাগ চাঁদপুর নদীবন্দরকে ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

চাঁদপুর-ঢাকাগামী সকল ছোটবড় যাত্রীবাহী লঞ্চ ও অন্যা নৌ-যান পরবর্তী নির্দেশ দেয়া পর্যন্ত চলাচল বন্ধ থাকছে।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা নৌ-যান শ্রমীকলীগের সভাপতি বিপ্লব সরকার চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আবহাওয়া অধিদপ্তরের চাঁদপুরকে ১০নং সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। সে হিসেবে চাঁদপুর কোনো নৌ-যান চলাচল করছে না।’

মঙ্গলবার ‘মোরা’ অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম,কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর এসব উপকূলীয় জেলায় ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ এবং ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কি.মি. বেগে ঝড়ো ও দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চর ও নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার-পাঁচ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

সোমবার (২৯ মে ) সকালে আবহাওয়ার এ-সংক্রান্ত সর্বশেষ ১২ নম্বর বার্তায় বলা হয়েছে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০৫ (পাঁচ) নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের
অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

সোমবার সন্ধ্যা ০৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিকে অবস্থান করছিল।

এটি আরও ঘণীভূত ও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ৩০ মে সকাল নাগাদ চট্রগ্রাম – কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ’মোরা’-এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা,
পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিকজোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে ৫৪ কি.মি. মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি.। এটি দমকা বা ঝড়ো হাওয়ায় ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার সকাল নাগাদ এটি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ
আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে

চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭ : ৪০ পিএম, ২৯ মে ২০১৭, সোমবার
ডিএইচ

Leave a Reply