Home / আন্তর্জাতিক / নিজ মেয়ে হানিপ্রীতের সাথে রাম রহিমের শারিরীক সম্পর্ক ছিলো
নিজ মেয়ে হানিপ্রীতের সাথে রাম রহিমের শারিরীক সম্পর্ক ছিলো

নিজ মেয়ে হানিপ্রীতের সাথে রাম রহিমের শারিরীক সম্পর্ক ছিলো

ভারতের স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত সিংহ রাম রহিমের সঙ্গে তাঁর পালিত কন্যা হানিপ্রীতের ছিল অবৈধ সম্পর্ক। এমনটাই অভিযোগ করলেন খোদ হানিপ্রীতর সাবেক স্বামী বিশ্বাস গুপ্ত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই খবর জানিয়েছে।

বিশ্বাস গুপ্ত বাবা রাম রহিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, হানিপ্রীতকে তাঁর থেকে আলাদা করে নিয়ে নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন বাবা রাম রহিম।

২০১১ সালে নিজের স্ত্রী হানিপ্রীতকে রাম রহিমের ডেরা থেকে বের করে আনতে হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন বিশ্বাস গুপ্ত। কিন্ত স্বামীর কাছে না গিয়ে রাম রহিমের কাছেই থেকে গিয়েছিলেন হানিপ্রীত।

হানিপ্রীতের আসল নাম প্রিয়াঙ্কা। হরিয়ানার ফতেহাবাদের মেয়ে তিনি। এই প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে নিজের এক ভক্ত এই বিশ্বাস গুপ্তর বিয়ে দিয়েছিলেন বাবা রাম রহিম। তারপর মেয়ে হিসেবে তাঁকে দত্তক নেন তিনি। ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এক জমকালো পার্টির আয়োজন করে প্রিয়াঙ্কাকে দত্তক মেয়ে হিসেবে ঘোষণা দেন বাবা রাম রহিম। তারপরই প্রিয়াঙ্কার নাম দেন হানিপ্রীত ইনসান।

বিশ্বাস গুপ্ত দাবি করেন, হানিপ্রীতকে বিয়ে করার সুবাদে বাবা রাম রহিমের ডেরাতে স্ত্রীর বদান্যে বাড়তি সুবিধাও পেতেন তিনি। কিন্তু ২০১১ সালের মে মাসে এক সন্ধ্যেবেলা বাবা রাম রহিমের ওপর থেকে সমস্ত বিশ্বাস উড়ে যায় তাঁর। কারণ, ওই দিন ডেরার মধ্যে বাবা রাম রহিমের খোলা দরজার ফাঁক দিয়ে তিনি দেখতে পান, নিজের স্ত্রী হানিপ্রীত বাবা রাম রহিমের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় রয়েছে।

এই ঘটনা দেখার পরেই হানিপ্রীত ডিভোর্স দেন তাঁর স্বামী বিশ্বাস গুপ্তকে। ওই দিন নিজের স্ত্রীর সঙ্গে বাবা রাম রহিমের আপত্তিকর দৃশ্য দেখে ফেলার পর সত্যি ঘটনা কাউকে জানালে চরম পরিণতি হবে বলেও বিশ্বাস গুপ্তকে হুমকি দিয়েছিলেন বাবা রাম রহিম। এরপর পরিবারের বাকি সদস্যদের নিয়ে রাম রহিমের ডেরা সাচ্চা সৌদা ত্যাগ করেন বিশ্বাস গুপ্ত। কিন্তু তারপরও নানাভাবে রাম রহিমের লোকজন তাঁর ওপর হেনস্তা চালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, বাবা রাম রহিমের সঙ্গে সর্বক্ষণই দেখা যেত এই হানিপ্রীতকে। ইন্টারনেট সার্চ করেও দেখা গেছে, ধর্ষক বাবার সঙ্গে হানিপ্রীতের রয়েছে অনেক ছবি। রয়েছে ভিডিও। যেখানে আবার বাবা রাম রহিমকে পাপা বলে ডাকতে দেখা গিয়েছে হানিপ্রীতকে। তবে পাপা ডাকলেও রাম রহিমের সঙ্গে হাসি ঠাট্টা থেকে বন্ধুর ভূমিকাতেও দেখা গিয়েছে হানিপ্রীতকে। এই হানিপ্রীতকেই বাবা রাম রহিম জেলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত ছায়াসঙ্গী হিসেবে দেখা গেছে। ভক্তদের দাবি, এই হানিপ্রীতকেই সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করতেন বাবা রাম রহিম।

কিন্তু নিয়তির পরিহাসে স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত সিংহ রাম রহিমের পরিচয় এখন কয়েদি নম্বর ১৯৯৭। নিজের এতদিনকার ঝকমকে পোশাক খুলে এখন পরেছেন কয়েদির পোশাক। সোমবার সাজা শোনার পর সারা রাত জেলের ভেতর কেঁদে কাটিয়েছেন তিনি। জেলের খাবার সেভাবে মুখেও তোলেননি। জানা গেছে, জেলে সমানে কেঁদে চলেছেন একসময়কার প্রভাবশালী এই ধর্মগুরু। জেলের মধ্যে কারো সঙ্গে সেভাবে কথাও বলছেন না তিনি। বর্তমানে রোহতক জেলের একটি সেলে রাখা হয়েছে তাঁকে।

জেল সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণেই তাঁকে সম্পূর্ণ আলাদা রাখা হয়েছে। রাম রহিম সিংহের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন দুজন পুলিশকর্মী এবং দুজন নিরাপত্তাকর্মী। উল্লেখ্য, সোমবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারপতি জগদীপ সিংহ রোহতকের জেলে এসে ধর্মগুরু গুরমিত সিংহ রাম রহিমকে দুই শিষ্য ধর্ষণ মামলায় কুড়ি বছরের কারাধণ্ডের নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে ৩০ হাজার রুপি জরিমানা ধার্য করেন।

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১: ০০ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৭, মঙ্গলবার
ডিএইচ

Leave a Reply