Home / চাঁদপুর / ‘যিনি জাটকা মাছ ধরবেন তিনি সবার শত্রু’
যিনি জাটকা মাছ ধরবেন তিনি সবার শত্রু
ফাইল ছবি

‘যিনি জাটকা মাছ ধরবেন তিনি সবার শত্রু’

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল বলেছেন, এবার আমরা কোনোক্রমেই জাটকা ধরতে দিব না। এতে যতটুকু ব্যবস্থা গ্রহণ করা লাগে আমরা করবো। জাটকা ইলিশ নিয়ে ধরা পড়লে ওই জেলের সকল ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে এবং তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সর্বচ্চো শাস্তি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে। যিনি জাটকা মাছ ধরবেন তিনি সবার শত্রু । জাটকা মাছ ধরার জন্য যারা চেষ্টা করবে কিংবা জাটকা মাছ ধরবে তাদেরকে ধরিয়ে দেওয়া হলে পুরস্কৃত করা হবে।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজরাজেস্বর ইউনিয় পরিষদের প্রাঙ্গণে চাঁদপুর জেলা টাস্কফোর্স কমিটি, সদর উপজেলা ও রাজরাজেস্বর ইউনিয়নের আয়জনে নভেম্বর-জুন ৮ মাস জাটকা সংরক্ষণ এবং মার্চ, এপ্রিল দু’মাস সরকারি ঘোষিত ইলিশ অভয়াশ্রম পদ্মা-মেঘনা নদীতে জাটকাসহ সকল প্রকার মাছ আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়নার্থে জনসচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এলাকার অভিভাবক চেয়ারম্যান, মেম্বারা তারা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের পক্ষে কাজ করতে হবে। বাল্য বিবাহর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। বাল্য বিবাহ যেন না হয় সে দিকে সকলকে খেলাল রাখতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সকলকে জিহাদ ঘোষণা করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারসহ সকলকে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সমাজের প্রতিটি দায়িত্বশীল ব্যক্তি সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এখানকার মানুষ অনেক কষ্টে জীবন যাপন করেও তারা নানাভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। ইলিশ সোনার খনি। আর এই সোনার খনিকে ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের।

জেলা প্রশাসক বলেন, এক সময় নদীতে ইলিশ মাছ পাওয়া অনেক কষ্ট হয়ে পড়তো। কিন্তু এখন সকলের সহযোগিতায় নদীতে ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে। আর এই ইলিশ মাছ পাওয়ার জন্য সকলকে আরো জোড়ালোভাবে কাজ করতে হবে। দেশের ৫টি অভয়াশ্রম রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাঁদপুরের ইলিশে ডিম দেয়। তাই ইলিশকে ধরে রাখার জন্য যতটুকু পদক্ষে নেওয়া প্রয়োজন আমরা তাই করবো। ইলিশকে ব্র্যান্ডিং করার কারণে আমাদেরকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চেনে। আর ইলিশ ব্র্যান্ডিং করার কারণে বিদেশে ইলিশের দাম বেড়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. আব্দুল কাইয়ুম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উদয়ন দেওয়ান, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এড. মুনিরা চৌধুরী, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান, সদর উপজেলা পরিবার – পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল প্রমুখ।

সভায় রাজরাজেস্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারীর সভাপতিত্বে ও মেম্বার পারভেজ গাজী রনির পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. হারুনুর রশিদ, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শওকত করীম, জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক দেওয়ান, মৎস্য নেতা তসলিম বেপারী, রাজরাজেস্বর ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিউদ্দিন সরকার প্রমুখ।

কোরআন তেলওয়াত করেন হাফেজ মাও গোলাম সারোয়ার।

প্রতিবেদক-মাজহারুল ইসলাম অনিক
।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ১০ : ৫৮ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ মঙ্গলবার
এইউ

Leave a Reply