Home / চাঁদপুর / ‘মেয়ে সন্তানরা বাবা-মায়ের মৃত্যু পর্যন্ত সহযোগিতা করে’
‘মেয়ে সন্তানরা বাবা-মায়ের মৃত্যু পর্যন্ত সহযোগিতা করে’

‘মেয়ে সন্তানরা বাবা-মায়ের মৃত্যু পর্যন্ত সহযোগিতা করে’

চাঁদপুর পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেছেন, ‘মেয়ে সন্তানরা বাবা-মায়ের মৃত্যু পর্যন্ত সহযোগিতা করে থাকে। বৃদ্ধকালে যখন তাদের যত্ন আরো বেশি প্রয়োজন হয়। তখনও তাদেরকে সহযোগিতা করে থাকে। তাদের বিপদে আপদে সুখে দুখে সবসময় এগিয়ে আসে। মায়েরা মেয়ে সন্তান জন্ম দিতে পেরে সৌভাগ্যবান হওয়া উচিত, কারণ একজন নারী থেকে ছেলে সন্তান হয়ে জন্ম না নিয়ে পৃথিবীতে আসা পুরুষের পক্ষে সম্ভব নয়।’
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা চাঁদপুর শিশু একাডেমিতে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জেলা শিশু একডেমির আয়োজনে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উদযাপনে উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার সামসুন্নাহার আরো বলেন, ‘একজন মেয়ে হিসাবে আমাদের সমাজকে পরিবর্তন করতে হবে। সমাজে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি সকল ধরণের কাজের সাথে জড়িত রয়েছে। আমাদের সমাজে দুইটি সন্তানের পর আরেকটি সন্তান নিতে চায়। কারন তাদের একটি ছেলে প্রয়োজন। ছেলেরা বাবা-মায়ের সব ধরণের কল্যাণকর কাজে এগিয়ে যাবে। এ ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। নরীরা দেশের সম্পদ, কারণএকজন নারীকে পৃথিবীতে পরিপূর্ণভাবে গড়ে তুললে সে দেশ ও জাতির উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সম্পত্তি হস্থান্তর যোগ্য কিন্তু শিক্ষিত সন্তান হস্থান্তর যোগ্য নয়। তারা দেশ ও জাতির বিশেষ সম্পদ। একজন নারী যতক্ষন পর্যন্ত নিজের পায়ে না দাঁড়াতে পারে ততক্ষন পর্যন্ত পুরুষের কাছে জিম্মি হয়ে থাকে। তাই নারীরা শিক্ষিত হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পুরুষের অত্যাচারে বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।’

উপস্থিত নারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা নিজের অধিকার ছিনিয়ে নিতে হলে নিজেকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। প্রত্যেকমেয়েদের অর্থনৈতিক ভাবে স্বালম্বী হতে হবে। তাদেরকে দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’

জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা লুৎফা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা কমালের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. কাউছার আহমেদ, মতলব উত্তর উপজেলা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা নূর জাহান বকুলসহ শিশু কন্যা ও অভিবাবক মায়েরা।

‘মেয়ে সন্তানরা বাবা-মায়ের মৃত্যু পর্যন্ত সহযোগিতা করে’

About The Author

প্রতিবেদক- আনোয়ারুল হক

Leave a Reply