Home / সারাদেশ / মুহূর্তেই দোকানগুলো বন্ধ করে মালিকরা উধাও

মুহূর্তেই দোকানগুলো বন্ধ করে মালিকরা উধাও

Dinajpur Corespondent:

মানুষের জীবন রক্ষা করে ওষুধ। যে কোনো দুর্যোগ বা অসুখে-বিসুখে মানুষের কাছে মহামূল্যবান হয়ে উঠে এটি। তবে একটুখানি ভুলের জন্য কিংবা ভুল প্রয়োগের কারণে কিন্তু ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা। সেকারণে জীবন রক্ষাকারী এ উপাদানটি নিয়ে সবাই অনেক দায়িত্বশীল হবেন এটাই প্রত্যাশা সবার।

কিন্তু বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শহরে যে দৃশ্য দেখা গেছে তাতে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এমনিতে অবরোধ আর হরতালে বিরামহীন নাশকতায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক লেগেই আছে। তুচ্ছ কারণেই মানুষ অনেক বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। ঠিক এমনি পরিস্থিতিতে বিকেলে আকস্মিকভাবে বীরগঞ্জ পৌর শহরের ওষুধ ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত হয়ে ওঠে। মুহূর্তের মধ্যে সব দোকানে সাটার নামার বিকট শব্দ হতে থাকে। একে একে সাটার নেমে দোকান বন্ধ করার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এ দৃশ্য দেখে স্থানীয়দের মধ্যেও অজানা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এক নিমিষেই উধাও হয়ে যায় ওষুধের দোকানের কর্মচারী ও মালিকরা। চারদিকে নেমে আসে সুনসান নিরবতা। কিছুটা ধাতস্থ হওয়ার পরে কৌতুহলী জনতা কয়েকজন কর্মচারীকে ডেকে আকস্মিকভাবে দোকান বন্ধ করার কারণ জানতে চান। এসময় তারা জানায়, মেয়াদোত্তীর্ণ আর অনুমোদনহীন কোম্পানির ওষুধ ধরতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হয়েছে। তাই সব দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকরা।

প্রশ্ন করা হয়, তাহলে কি সব দোকানেই মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা হয়? সব দোকানেই কি অনুমোদনহীন কোম্পানির ওষুধ বিক্রি করা হয়? এমন প্রশ্নের উত্তরে নীরব থাকতে দেখা গেছে কর্মচারী আর দোকান মালিকদের।

ওষুধের দোকানের মালিকদের কাছ থেকে এসব প্রশ্নের উত্তর না মিললেও বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মনজুরের নেতৃত্বে পরিচালনা করা ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান দিয়েছে এসব প্রশ্নের উত্তর।

অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনুমোদনহীন ওষুধ রাখার দায়ে বীরগঞ্জ পৌর এলাকার ঔষধ বিতানকে করা হয়েছে দুই হাজার টাকা জরিমানা। একই ভাবে মা ফার্মেসিকে দুই হাজার টাকা, আধুনিক ডায়াগনিক সেন্টারকে পাঁচ হাজার টাকা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনুমোদনহীনসহ সরকারি ওষুধ রাখার অভিযোগে রাজু ফার্মেসিকে করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা জরিমানা। বাকি দোকানগুলো বন্ধ করে মালিকরা উধাও হয়ে যাওয়ায় আদালতের অভিযান থেকে আপাত রক্ষা পেয়েছে।

অভিযানে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিনু, বীরগঞ্জ থানার এসআই মো. নাজমুল হোসেনের নেতৃত্বে অংশ নেয় একদল পুলিশ।

সূত্র- বাংলামেইল