Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে চলাচলের পথে মুক্তিযোদ্ধার কবর দেয়ায় জনতার বাধা
হাজীগঞ্জে চলাচলের পথে মুক্তিযোদ্ধার কবর দেয়ায় জনতার বাধা

হাজীগঞ্জে চলাচলের পথে মুক্তিযোদ্ধার কবর দেয়ায় জনতার বাধা

হাজীগঞ্জে চলাচলের মাঝ পথে মুক্তিযোদ্ধার কবর দেওয়াকে কেন্দ্র করে জনতা বাধা সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে সমঝতা হয়েছে।

রবিবার (৯ জুলাই) বিকেলে উপজেলার ৪নং কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের নোয়াহাটা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন মাস্টার মৃত্যু বরণ করেন। মুক্তিযোদ্ধার কবর তার নিজ বাড়ীর দেওয়ালের পূর্ব দিকের শেষ প্রান্তে নতুন কবরের স্থান নির্ধারণ করা হয়। কবর খুড়তে গেলে পাশ্ববর্তী কামার বাড়ীর লোকজন এতে বাধাঁ দেয়। খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপন ঘটনাস্থলে জনতাকে শান্ত করেন এবং নিহত মুক্তিযোদ্ধার কবর খোড়ার নির্দেশ দেন।

সরজমিনে গিয়ে বাধাদানকারী মিজানুর রহমান, মাসুদ, সিরাজ, শাহাদাতসহ ১০/১২ জনের বক্তব্যে জানা যায়, যে স্থানে মুক্তিযোদ্ধার কবর খুড়তেছে সে স্থান দিয়ে এক সময় ভানিয়াকান্দি, বাজনাখাল, শাকচিপাড়া, সৈয়দপুর ও ভাটরার লোকজন বিকল্প চলাচলের পথ হিসেবে ব্যবহার করতো। মুক্তিযোদ্ধা জীবিত থাকালীন সময়ে গত ২০১২ সালে তার বাড়ির দুই দিকে দেওয়াল নির্মাণ করে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়। এতে করে দূর পাল্লার মানুষের চলাচল কমে আসলেও পাশ্ববর্তী কামার বাড়ীর লোকজন চলাচলে দুর্ভোগ প্রহাতে হয়।

এরই মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদে কয়েকবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে নোর্টিশ করেন সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যান।

বিষয়টি সমাধান না হয়ে হঠাৎকরে মুক্তিযোদ্ধা হোসেন মাস্টা মারা যায়। কিন্তু যে পথের বিষয়ে অভিযোগ সে পথের উপর মুক্তিযোদ্ধার কবর খুড়ার চেষ্টা করে তার পরিবার, সে কারণে আমরা বাধাঁ দিয়েছি তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেওয়া আমরা সবাই মিলে মুক্তিযোদ্ধাকে মাটি দেওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছি।

মুক্তিযোদ্ধার ছেলে সোহেল বলেন, বাবার কবরের ব্যবস্থা সম্পন্ন হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে বসে সমাধানে করবো।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপন বলেন, মুক্তিযোদ্ধার কবর খোড়াকে কেন্দ্র করে বাধার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাজালাল মজুমদারসহ গণ্যমান্যরা মিলে বাধাদানকারিদের সাথে কথা বলে মুক্তিযোদ্ধার কবর দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করি এবং বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করি।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাবেদুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধার কবরে বাধা দেওয়ার কোন অভিযোগ পাইনি। নিয়ম অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় দাফনের প্রস্ততি ইতিমধ্যে থানা প্রশাসন নিয়েছে।

প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০ : ২৫ পিএম, ৯ জুলাই ২০১৭, রোববার
এইউ

Leave a Reply