Home / উপজেলা সংবাদ / মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের টাকা নিয়ে মতলবের ‘জনি’ উধাও
মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের টাকা নিয়ে মতলবের ‘জনি’ উধাও
শ্রমিকের টাকা নিয়ে উধাও (ফাইল ছবি)

মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের টাকা নিয়ে মতলবের ‘জনি’ উধাও

‎Saturday, ‎June ‎13, ‎2015   06:50:15 PM

চাঁদপুর টাইমস,মালয়েশিয়া :

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বারহাতিয়া গ্রামের এনায়েতনগরের বাসিন্ধা জয়নাল আবদিন জনি মালয়েশিয়ায় শ্রমিকের টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রবাস থেকে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, জয়নাল আবদিন জনি প্রতারণা করে মালয়েশিয়া কোম্পানি এমডিআই কালেক্টসান এসডিএনবিএইচডি থেকে শ্রমিকদের গচ্ছিত রাখা মালয়েশিয়ান ২৩ হাজার ২শত রিঙ্গিত ও ১৬০ গ্রাম স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। বাংলাদেশি টাকায় বর্তমান বাজার মূল্য ৫ লাখ ২০ হাজার ৯ শ’ ৬০ টাকা আর স্বর্ণ বর্তমান বাজার দর ৫ লাখ ১০ হাজার ৪ শ’ টাকা।
গত ৮ জুন মালয়েশিয়া কুয়ালালামপুর তামান শ্রী সিনার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় এমডিআই কালেক্টসান এসডিঅনবিএইচডি মালিক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে জিনজান,সেনতুল ও কেপং থানায় ৩টি মামলা করে এবং শ্রমিকদের পক্ষ থেকে লিখিত একটি অভিযোগ বাংলাদেশ হাইকমিশনে দেয়।

অভিযোগসূত্রে আরো জানা যায়, এমডিআই কালেক্টশান এসডিঅনবিএইচডি কোম্পানিতে সুপারভাইজার হিসাবে জয়নাল আবদিন জনিকে মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন তার নিজ কোম্পানিতে চাকুরী দেন। জনির অসহায়ের কথা ভেবে একই জেলার হওয়ার জনির প্রতি ইসমাইল হোসেনের দরদ একটু বেড়ে যায়। এলাকার সন্তান হিসাবে যাবতীয় ভরণ-পোষণ করেন ইসমাইল হোসেন। সুপারভাইজার হিসাবে কাজও করেন অনেক দিন।

ইসমাইল হোসেন তার শ্রমিকদের বেতনের গচ্ছিত টাকা তার বাসার ড্রয়ারে রেখে প্রতিদিনের মত অন্যত্র চলে যায়। এবং পূর্বে ড্রয়ারে ১৬০ গ্রাম স্বর্ণালংকার ছিল। টাকা পয়সা ও স্বর্ণ অলংকার নিয়ে জয়নাল আবদিন জনি পালিয়ে যায়। ইসমাইল কোথায় খুঁজে পায়নি জনিকে। বাড়িতে ফোন দিয়ে ও জনির হদিস মিলেনি। উপায়ন্ত না পেয়ে ইসমাইল হোসেন নিজে বাদী হয়ে মামলা করেন।

প্রতারক জনির পিতার নাম মৃত হাফিজ উদ্দিন, সে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার বারহাতিয়া গ্রামের এনায়েতনগরের বাসিন্ধা।

এদিকে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশী প্রবাসীরা জানান, মিজান চুরি করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। আইনের আওতায় এনে তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।

চাঁদপুর টাইমস/প্রতিনিধি/এএস/ডিএইচ/২০১৫।