Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব দক্ষিণে নারী ও শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে
মতলব দক্ষিণে নারী ও শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে

মতলব দক্ষিণে নারী ও শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে

মতলব দক্ষিণ প্রতিনিধি :

মতলব দক্ষিণ উপজেলায় শিশু ও নারী শ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। যে বয়সে একজন শিশু স্কুলে থাকার কথা, সে বয়সে এখন দিন মজুরি খাটছে। শুধু তাই নয়, এসব শিশু ও নারী শ্রমিক ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত করছে। উপজেলার বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁয় ইটের ভাটায় কনস্ট্রাকশন কাজে মাটি কাটা ও ইট ভাঙ্গার মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে শিশু ও নারী শ্রমিকরা।

জানা যায়, অভাবের তাড়নায় এসব শিশু ও নারী শ্রমিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হতদরিদ্র সংসারের অর্থ উপার্জনের ভূমিকা রাখছে। প্রতি বছরই ঝুঁকিপূর্ণ এ পেশায় কাজ করতে গিয়ে নারী ও শিশু শ্রমিকদেরকে আহত, নিহত ও পঙ্গুত্বের শিকার হতে হচ্ছে। এদিকে এসব শিশু শ্রমিককে যারা খাটাচ্ছে তারা ন্যায্য মজুরি দিচ্ছে না।

বাংলাদেশে ১৯৪৭ সালের শিশু আইনের ৪৪নং ধারায় শিশু শ্রমিককে কোথাও নিয়োগ দানের অপরাধে এক হাজার টাকা জরিমানা ও ৩৪নং ধারায় শিশুদের দৈহিক নির্যাতনের অপরাধে দু’ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। অথচ এসব শিশু ও নারী শ্রমিকরা জীবনের তোয়াক্কা না করে দিনরাত হাড় ভাঙ্গা খাটুনি খেটেও শ্রমের যথার্থ মজুরি পাচ্ছে না। কিছু অভিভাবকদের অসচেতনতা ও অন্যান্য প্রতিকূলতার কারণে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও বেশির ভাগ শিশু ও নারী শ্রমিকরা অভাবের কারণেই এমন জীবন যুদ্ধে নেমেছে বলে জানা গেছে।

সাধারণ মানুষ মনে করেন, যারা শ্রমিকদের দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা উচিত। আজকের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই শিশুর অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব সকলের। কম বেতনের ফায়দা নিয়ে যেসব হোটেল, দোকান, রেস্তোরাঁ, ওয়ার্কসপ, ইট ভাটার মালিকরা শিশু ও নারীদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত করছে তাদেরকে শনাক্ত করে শিশু আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট থাকবে বলে মতলবের কিছু সচেতন মহল মনে করেন।

অন্তত আর যাই হোক, শিশু ও নারীদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় কেউ যাতে নিয়োগ করতে না পারে সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকেই বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। শুধু টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে শিশু অধিকার বাস্তবায়ন করা আদৌ সম্ভব নয় বলে মতলবের সচেতন মহল মনে করেন। শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আরো ব্যাপক পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।