Home / চাঁদপুর / যেসব কারণে ইলিশ রক্ষা অভিযান অনেকাংশেই সফল হচ্ছে না
Child Ilish Jele
ছবিগুলো ৭ অক্টোবর, ২০১৭ তে ইলিশের অভয়াশ্রম থেকে তোলা। (ফাইল ছবি- আশিক বিন রহিম)

যেসব কারণে ইলিশ রক্ষা অভিযান অনেকাংশেই সফল হচ্ছে না

প্রতিবছরের ন্যায় এবারো প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষার্থে শনিবার রাত থেকে উপকূলীয় ৭ হাজার বর্গ কিলেমিটার জলসীমায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

শনিবার (৭ অক্টোবর) রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত (২২ দিন) মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করার জন্য বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও আশ্বিনের পূর্ণিমা লক্ষ্য রেখে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মৎস্য অধিদফতর।

এ সময় সারাদেশে ইলিশ আহরণ বন্ধসহ পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ বা বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে প্ররাচরনার পাশাপাশি মৎস্য অধিদফতর কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।

তবে জেলারা বলছেন, মৎস্য অধিদফতর ও প্রশাসনের আন্তরিকতার অভাবে বিগত কয়েক বছর ধরে মা ইলিশ রক্ষার্থে এ নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি সফল হচ্ছে না। সরকারি সহায়তা না পেয়ে অভাবের কারণে এ সময় অনেক জেলে মাছ শিকারে বাধ্য হচ্ছেন। আনেক ক্ষেত্রে সরকারি সহায়তা সঠিক সময়ে না পাওয়ার অভিযোগ করছেন অনেক জেলে।

এরপর রয়েছে দাদন ব্যবসায়ীদের চাপ। অভাব ও দাদন ব্যবসায়ীদের চাপের কারণে অনেক জেলে নিষেধাজ্ঞার সময় মা-ইলিশ শিকারে বাধ্য হচ্ছেন। আর শিকার করা মাছ ক্ষমতাসীন দলের লোক ও সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অনেকে রাতের আঁধারে কিনে নেন। মাঝে মধ্যে মাছ শিকারের অপরাধে জেলেদের জেল জরিমানা হলেও নেপথ্যে থাকা এসব ব্যক্তিরা আড়ালেই থেকে যায়।

উপকূলের একাধিক জেলে জানান, নিষেধাজ্ঞার এ সুযোগে বিগত কয়েক বছর বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে ভারতীয় জেলেরা অবাধে মাছ শিকার করে নিয়েছে । এ জন্য তারা ব্যবহার করছে শক্তিশালী ইঞ্জিনচালিত নৌকা। মৎস্য অধিদফতর, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ তাদের নাগাল পায় না। এসব কারণে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি সফল হচ্ছে না।

উপকূলের একাধিক জেলে জানান, নিষেধাজ্ঞার এ সুযোগে বিগত কয়েক বছর বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে ভারতীয় জেলেরা অবাধে মাছ শিকার করে নিয়েছে । এ জন্য তারা ব্যবহার করছে শক্তিশালী ইঞ্জিনচালিত নৌকা। মৎস্য অধিদফতর, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ তাদের নাগাল পায় না। এসব কারণে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি সফল হচ্ছে না।

চাঁদপুর ইলিশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান গবেষক ড. আনিসুর রহমান জানান, ইলিশের প্রজনন মৌসুম হচ্ছে আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমা। এ সময়ে ডিম ছাড়ার জন্য ৭০-৮০ ভাগ মা ইলিশ গভীর সাগর ছেড়ে মিঠা পানির নদীতে চলে আসে। চলতি বছর ২৪ অক্টোবর আশ্বিনের পূর্নিমা। পূর্ণিমার আগে সাগর ছেড়ে নদীতে প্রবেশের সময় এবং পূর্ণিমার পরে নদী ছেড়ে সাগরে চলে যাওয়ার সময় জেলেদের জালে মা ইলিশ ধরা পড়ে। তাই মা ইলিশের আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে পূর্ণিমার আগে ১৭ দিন এবং পরে ৪ দিন অর্থাৎ মোট ২২ ইলিশ নিধনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট