Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব দক্ষিণ / ক্রেতা নেই আতপ চালের : লোকসান গুনছে ডিলাররা
Motlob Dokkhin
প্রতীকী

ক্রেতা নেই আতপ চালের : লোকসান গুনছে ডিলাররা

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে খোলা বাজারে ৩০ টাকা কেজি আতপ চাল বিক্রির কার্যক্রম শুরু করলেও দেখা মিলছেনা ক্রেতাদের। ফলে ডিলাররা প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা লোকসান গুনছেন।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়ার পরও খোলা বাজারে আতপ চালের পরিবর্তে সিদ্ধ চাল মিলছে না। খোলা বাজারে আতপ চাল বিক্রি শুরুর পর ওই চিঠি দেওয়া হলেও খাদ্য অধিদপ্তর থেকে এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

তাই বাধ্য হয়ে ডিলাররা আতপ চাল উত্তোলন করলেও ক্রেতাদের আতপ চাল কেনায় আগ্রহ না থাকায় উত্তোলনকৃত চাল অবিক্রিত থেকে যায়। প্রতিদিন একজন ডিলার এক টন চাল বিক্রি করার অনুমতি থাকলেও ক্রেতা না থাকায় তা বিক্রি করতে পারছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় মতলব খাদ্য গুদামে এখনো ১৮০ টন আতপ চাল মজুদ রয়েছে। এছাড়া খাদ্য গুদামে ১৮০ টন সিদ্ধ চাল মজুদ আছে বলে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সূত্রে যানা যায়। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত না আসায় ওই চাল ডিলারদের মাঝে বিতরণ করা যাচ্ছে না বলে জানান খাদ্য কর্মকর্তা।

খাদ্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তর সূত্রে জানিয়েছে বিগত ২০ সেপ্টেম্বর হতে মতলব পৌরসভা এলাকার তিনজন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন এক হাজার কেজি আতপ চাল বিক্রির মাসব্যাপী কার্যক্রম শুরু হয়। যা গতকাল ১৫ অক্টোবর শেষ হয়েছে। কিন্তু এ অঞ্চলের মানুষ আতপ চালের ভাত খেতে অভ্যস্ত নয়। তাই আতপ চাল উত্তোলনের আগ্রহ ছিল না ডিলারদের । কিন্তু ডিলারশীপ বাতিল হওয়ার আশঙ্কায় বাধ্য হয়ে আতপ চাল উত্তোলন করেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান মতলববাসীর খাদ্য অব্যাসের কারনে আতপ চাল বিক্রি হচ্ছে না। তাই আতপ চাল বাদ দিয়ে সিদ্ধ চাল বিক্রি করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

এ দিকে মতলবে সরকার নিয়ন্ত্রিত ডিলারদের মাধ্যমে ওএমএস কার্যক্রম শুরু হলেও ৩০ টাকা ধরে আতপ চাল কিনতে আগ্রহ নেই ক্রেতাদের । এ অঞ্চলের মানুষ আতপ চালের ভাত খেতে অভ্যস্ত নয়। ফলে চাল কিনতে গিয়ে অনেকে ফিরে আসছেন। রিক্সা চালক সমির হোসেন সমু জানান তারা পরিশ্রমি। তাই মোটা চাল খেতে পছন্দ করেন। আতপ চাল দিয়ে তারা পিঠা খেতে পছন্দ করে, ভাত খেতে নয়। তারাও চাল কিনতে গিয়ে ফিরে আসেন বলেন জানান।

মতলব বাজারের ডিলার জাহাঙ্গীর সরকার জানান তার ২৫ দিনে এক টন চাল বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। এ অঞ্চলের সকল পেশার মানুষ সিদ্ধ চালের ভাত খেতে অভ্যস্ত। তাই আতপ চাল কিনতে চান না। প্রতিদিনই লেবার খরচ সহ ১ থেকে ২ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। ২৫ দিনে ২৫ টন চাল বিক্রি করার অনুমতি থাকলেও ক্রেতা না থাকায় চাল উত্তোলন করা হয়নি।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মহিউদ্দিন জানান মতলব পৌরসভার তিনটি পয়েন্টে গত ২০ সেপ্টেম্বর হতে আতপ চাল বিক্রি করছেন ডিলাররা। পৌরসভায় তিনজন ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে ।

একজন ডিলার দৈনিক এক টন (এক হাজার কেজি) চাল উত্তোলন করে বিক্রি করার নিয়ম থাকলেও তা করতে পারেনি। তিনজন ডিলার বিগত ২৫ দিনে ১১ টন চাল বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। তিনিও শিকার করলেন এ অঞ্চলে আতপ চালের চাহিদা খুবই কম থাকায় ডিলারদের লোকসান গুনতে হয়েছে।

প্রতিবেদক- মাহফুজ মল্লিক
: আপডেট, বাংলাদেশ ০৪:১০ পিএম, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭ রোববার
ডিএইচ

Leave a Reply