Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব দক্ষিণ / মতলবে এক ইউপিতে দু’চেয়ারম্যান : বিপাকে বাসিন্দারা
মতলবে এক ইউপিতে দু’চেয়ারম্যান : বিপাকে বাসিন্দারা

মতলবে এক ইউপিতে দু’চেয়ারম্যান : বিপাকে বাসিন্দারা

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৬নং উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদে এক সাথে দায়িত্ব পালন করছেন দুইজন চেয়ারম্যান! এদের একজন হচ্ছেন দুর্নীতির দায়ে বহিস্কার হওয়া আলী আশ্রাফ পাটোয়ারী এবং অপর জন হচ্ছেন ওই পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হাই।

এদিকে দুজনেই সমান তালে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে বিভিন্ন সেবা পেতে বিভ্রান্তিতে পড়ছেন ওই ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ।

উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ এপ্রিল ওই ইউপির ৯ জন সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের ১০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৩ মে ইউএনওর নির্দেশে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তদন্ত শুরু করেন এবং সত্যতা পান।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী গতবছরের ৫ আগস্ট এলজিআরডি মন্ত্রণালয় ৭৯১ নং স্মারকের ০৫.০৮.১৫ তারিখের এক চিঠিতে ওই চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করে। চিঠিটি গত ১৬ আগস্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে পৌঁছানোর পর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ওই চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণার চিঠি দেয় এবং গত ১৭ আগস্ট চিঠির কপি ঢাকা বিজি প্রেস এবং ইউপি কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

এরপরই পরিষদের কার্যক্রম সচল রাখার জন্য প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হাইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ওই ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে বসে জন্ম সনদ ও নাগরিকত্বের সনদপত্রে স্বাক্ষর করছেন দুর্নীতির দায়ে বহিস্কার হওয়া চেয়ারম্যান আলী আশ্রাফ পাটোয়ারী।

বহিস্কার হওয়ার পরও পরিষদে এসে এই কাজ করতে পারেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র করে মেম্বারগণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে অনাস্থাপত্র দিয়েছিলো। আসলে বহিস্কার নয়, আমার উপর কনফিডেন্স (আত্মবিশ্বাস/আস্থা) ছিলো না। যা মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছিলো। কিন্তু ইউএনও ক্ষমতা দেখিয়ে আমার পদ শুণ্য ঘোষণা করেন, যা তিনি করতে পারেন না।’

তিনি আরো জানান, ‘মন্ত্রণালয় থেকে বহিস্কারের যে চিঠি দেয়া হয়েছে তার উপর হাইকোর্টের ছয় মাসের স্থগিতাদেশ রয়েছে। সুতরাং আমিই চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছি।’

এদিকে প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন, ”তার (আলী আশ্রাফ পাটোয়ারী) পদ শুন্য হওয়ায় আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারপরও তিনি পরিষদে এসে জন্ম ও নাগরিক সনদে স্বাক্ষর করেন। যা তিনি করতে পারেন না, এটি অবৈধ। এ বিষয়ে ইউএনও-কে জানানো হয়েছে।’

মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইসলাম বলেন, ‘পুরো বিষয়টি এখন আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। তবে বহিস্কৃত চেয়ারম্যান আলী আশ্রাফ পাটোয়ারী তার চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাননি। তাই তিনি পরিষদের কোন কাজ করতে পারেন না।’

সবমিলিয়ে বিষয়টি নিয়ে ওই ইউনিয়নের মানুষ ইউনিয়ন সেবা পেতে অনেকটা বিপাকে পড়ছেন।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট : আপডেট ১২:১০ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৬, বুধবার

ডিএইচ