Home / সারাদেশ / বেগম খালেদা জিয়া ঠিক কাজ করেছেন : কাদের সিদ্দিকী

বেগম খালেদা জিয়া ঠিক কাজ করেছেন : কাদের সিদ্দিকী

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া না গিয়ে ঠিক কাজ করেছেন।

জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেএসডি কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির উদ্যোগে সোমবার দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।

বঙ্গবীর আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ওই সম্মেলনে গেলে তাকে কথাই বলতে দেয়া হতো না। এমনকি বসতেও দেয়া হতো না। তার জন্য কোনো চেয়ারও রাখা হতো না।

তিনি বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরী এবং স্বাধীনতা পতাকা উত্তোলক আ স রবও ওই সম্মেলনে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারা কী সন্মান পেয়েছেন তা জাতি জানে। সেখানে তাদেরকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখতে দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, বিদেশীরা এ সরকারের অনেক প্রশংসা করেছেন ওই সম্মেলনে গিয়ে। অথচ দেশের কোনো একিট রাজনৈতিক দল সেখানে তাদের শুভেচ্ছা জানাতে পারেননি।

তিনি বলেন, বিদেশীদের মুখে এত প্রশংসা শুনতে যাবেন না। এটা বেশি ভালো না। আসলে ওই সম্মেলনটা আসলে এরকটা সম্পূর্ণ ব্যর্থ সম্মেলন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, শেখ মুজিব হতে চেয়েছিলেন গান্ধী। দেশ চালানো দায়িত্ব তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের হাতেই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরেই তার মত পাল্টে গেলো। এর কারণ জাতি একদিন খুঁজে বের করবে।

তিনি বলেন, সবাইকে নিয়ে আন্দোলন করে সরকারকে বুঝিয়ে দিতে হবে যে তারা গণতন্ত্রের পথে হাঁটছেন না। দেশটা সঠিক পথে নেই।
অনুষ্ঠানে বাসদ সাধারণ সম্পাদক বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান দলমত নির্বিশেষে সকলকে বিভিন্ন ইস্যুতে যুগপৎ আন্দোলনে শরিক হবার আহবান জানান।

তিনি পত্র-পত্রিকায় বিভিন্ন খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, দেশের অবস্থা এত ভালো হলে পত্র-পত্রিকায় গুম, হত্যা, রাহজানির অপহরণের এমন ভয়াবহ পরিসংখ্যান কেন?

জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব এতে সভাপতিত্ব করেন।

এতে রব বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক বাংলাদেশ গঠনের জন্যই জেএসডি’র জন্ম হয়েছিল। তিনি বলেন, পাকিস্তানিরা মনে করতো, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা দেয়া যাবে না- এতে পাকিস্তান ভেঙে যাবে। এখন আওয়ামী লীগ মনে করছে, অন্য কোনো দলকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না- এতে তাদের কী পরিণতি হবে তা ভবিষ্যতই নির্ধারণ করবে। জাতীয় জীবনে আজ যে সংকট, ঘুষ-দুর্নীতি-হত্যা-ধর্ষণ-লুটপাট ও সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ যেভাবে বিস্তার লাভ করছে এতে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি ও জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। সুশাসন ছাড়া গণতন্ত্র ও উন্নয়ন টেকসই হয় না। সুশাসন গড়ে তোলার জন্য জনগণের মৌলিক মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য দ্বি-কক্ষ পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের ব্যবস্থা করতে হবে। সৎ, নিরপেক্ষ ও সাহসী ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।

আবদুল মালেক রতন বলেন, উন্নত দেশের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি আসছে। এ সহযোগিতাকে কাজে লাগানোর সাথে সাথে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দুর্নীতির অবসান, গণতন্ত্র, সুশাসন, জাতীয় ঐক্য ও উপ আঞ্চলিক সহযোগিতা জোট গড়ে তোলা অত্যাবশ্যক।

আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্য নেতা এস এম আকরাম, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণফোরাম নেতা মফিজুল ইসলাম কামালসহ জেএসডি নেতাদের মধ্যে এম এ গোফরান, আতাউল করিম ফারুক, মে: সিরাজ মিয়া, মিসেস তানিয়া ফেরদৌসী প্রমুখ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জনাব শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। আলোচনাসভা শুরুর আগে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়। এতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন আ স ম আবদুর রব ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন আবদুল মালেক রতন।

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১:০০ পিএম, ১ নভেম্বর ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ

Leave a Reply