Home / সারাদেশ / বিধবা নারীকে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন
বিধবা নারীকে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

বিধবা নারীকে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর টাইমস :

লালমনিরহাট : জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গীমারী গ্রামে কথিত অভিযোগ তুলে এক ব্যক্তি ও এক বিধবা নারীকে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছেন গ্রাম্য মাতব্বররা। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।

এলাকাবাসী জানান, বুধবার রাতে সিঙ্গীমারী গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম একই গ্রামের মৃত তফিজুল ইসলামের স্ত্রী শিউলীর বাড়িতে প্রবেশ করেন। এসময় অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অপরাধে রাতেই রফিকুল ইসলামকে আটক করেন এলাকাবাসী। পরে রাতে তাদের দু`জনকেই দড়ি দিয়ে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে রাতভর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়। মারধরে বিধবা শিউলী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। মায়ের নির্যাতন দেখে শিশু আরিফ (৬) এগিয়ে এলেও তাদের মন গলেনি। এসময় তারা অমানবিক নির্যাতন করতে থাকেন।

শিশু আরিফ ‘আমার মাকে ছেড়ে দেও’ বলে বার বার চিৎকার করে। এলাকাবাসী শিউলীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে ওই মাতব্বররা বাধা প্রদান করেন।

রফিকুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, বুধবার রাতে পাওনা টাকার জন্য শিউলীর বাড়িতে আসি। এসময় ওই এলাকার লান্টু, সাবেদ, শাহিন ও ফরিদসহ কয়েক জন গ্রাম্য মাতব্বর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনে আমাকে আটক করেন।

সিঙ্গীমারী ইউনিয়ন পরিষদর ৮ নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন সদস্য ছলিমুদ্দিনজানান, খবর পেয়ে রাতেই আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি তারা যে অবৈধ কাজ করেছেন এমন কথা আমার জানা নেই।

হাতীবান্ধা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এস আই) মতিয়ার রহমান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি তাদের বাঁশের সঙ্গে বাধা অবস্থায় দেখতে পাইনি। তাদের গ্রাম্য শালিসে বিচার হবে বলে জেনেছি।

হাতীবান্ধা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আব্দুল মতিন প্রধান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ এলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপডেট :   বাংলাদেশ সময় : ০২:১৪ অপরাহ্ন, ২৪ আষাঢ় ১৪২২ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার ০৮ জুলাই ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ

 চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫

চাঁদপুর টাইমস ডট কমপ্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি