Home / জাতীয় / অর্থনীতি / বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে ভারতীয় রুপির রেকর্ড পরিমাণ মূল্যপতন
বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে ভারতীয় রুপির রেকর্ড পরিমাণ মূল্যপতন

বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে ভারতীয় রুপির রেকর্ড পরিমাণ মূল্যপতন

বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে ভারতীয় রুপির রেকর্ড পরিমাণ মূল্যপতন হয়েছে। গত এক বছরে প্রায় ১০ টাকা মূল্যপতন হয়েছে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ ভারতের রুপির। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বুধবার একটা পর্যায়ে ১০০ রুপির দাম গিয়ে দাঁড়ায় ১১৫ টাকার সামান্য বেশি।

ডলারের ধারাবাহিকতায় এবার ভারতীয় রুপির বিপরীতেও বাংলাদেশি মুদ্রা শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ফলে ভ্রমণ কিংবা চিকিৎসার জন্য যারা ভারতে যাবেন তারা আগের চেয়ে লাভবান হবেন। কারণ রুপি কিনতে এখন টাকা কম লাগবে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, সারা বিশ্বে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে টালমাটাল পরিস্থিতি। সেখানে বাংলাদেশের টাকার মান স্থিতিশীল থেকে বেড়েছে। এটা অর্থনীতর সুফল। বাংলাদেশি টাকা দৃঢ়তা দেখাতে পেরেছে বলেই রুপির তুলনায় দর বেড়েছে।

টাকার বিপরীতে রুপির দরপতন। লাভ ক্ষতির হিসাবটি কী জানতে চাইলে অর্থনীতিবদ ড. এ বি এম মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, রুপির বিপরীতে টাকা শক্তিশালী হওয়ার প্রবণতা বজায় থাকলে বাংলাদেশে ভারতের রফতানি আরো বাড়বে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে যারা পর্যটন বা চিকিৎসার জন্য ভারতে আসেন সুবিধা হবে তাদের।

জানা গেছে, গত বছরের এই ফেব্রুয়ারিতে ১০০ রুপি কিনতে লেগেছে ১২৫ টাকা। আর এ বছর ফেব্রুয়ারিতে লাগছে ১১৫ টাকা। অবশ্য গত চার মাসে রুপির মূল্যপতন হয়েছে প্রায় ৫ টাকা।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রুপির দাম কমায় রফতানিকারক হিসেবে ভারত লাভবান হতে পারবে।

বাংলাদেশ থেকে যারা ডাক্তার দেখাতে, অস্ত্রোপচার করতে, ভারতের দর্শনীয় স্থান তাজমহল দেখতে বা আজমির শরিফে তীর্থ করতে ভারতে আসবেন তাদের জন্য এটা বড় সুখবর। একইভাবে জমকালো শহর নয়াদিল্লীতেও আপনার ভ্রমণ ব্যয় কিছুটা কমবে রুপির এই পতনে।

ভারতে মাকে নিয়ে নিয়মিত চিকিৎসা করাতে যান বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম হান্নান। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, এটা আমার ও আমার পরিবারের জন্য সুখবর। এর ফলে আমি আমার মাকে কিছুটা সাশ্রয়ে চিকিৎসা করাতে পারব ভারতে।

২০১৩ এর আগস্টেও অনেকটা একইরকমভাবে রুপির বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার দাম বেড়ে গিয়েছিল।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের চাহিদা ও সরবরাহ ওঠানামার কারণেই মূলত রুপি ও টাকার মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। তাই দুই দেশের মধ্যকার আমদানি-রফতানি ডলারে হলেও রুপির দরপতন যদি অব্যাহত থাকে ও দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে দুই ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, গত জানুয়ারি মাসে ১০০ রুপি কিনতে দিতে হয়েছে ১১৬ টাকা। গত বছরের ডিসেম্বরে দিতে হয়েছে ১১৭ টাকার কাছাকাছি। নভেম্বর মাসে ১১৮ টাকায় কিনতে হয়েছে ১০০ রুপি। অবশ্য চলতি মাসের এই ১০ দিন অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে। বড় কোন দর পতনের মুখে পড়েনি ভারতীয় রুপি।

নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০১:১৯ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, বৃহস্পতিবার

এমআরআর