Home / শীর্ষ সংবাদ / ফরিদগঞ্জে গৃহবধূকে বিষ প্রয়োগে হত্যা মামলা গ্রহণ
ফরিদগঞ্জে গৃহবধূকে বিষ প্রয়োগে হত্যা মামলা গ্রহণ
ফাইল ছবি

ফরিদগঞ্জে গৃহবধূকে বিষ প্রয়োগে হত্যা মামলা গ্রহণ

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিষ প্রয়োগে দু’সন্তানের জননীকে পরিকল্পিত হত্যার ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার পর ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করে। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

অপরদিকে হামলার পর-পরই অভিযুক্ত মফু তার পরিবারের লোকজনকে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। মামলার পর থেকে সে এখন অজ্ঞাত স্থান হতে বাদি পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

হত্যার শিকার রুমা আক্তার ফরিদগঞ্জ উপজেলার হাঁসা গ্রামের হালিম পাটোয়ারী বাড়ির জিল্লুর রহমানের স্ত্রী। তাকে গত ২০ এপ্রিল বসত ঘরে প্রতিপক্ষ মফিজুর রহমান মফুর পরিবারের সদস্যরা প্রথমে হামলা চালিয়ে ও পরে মুখে জোরপূর্বক বিষ প্রয়োগে হত্যা করে।

এ ঘটনায় নিহত রুমার পিতা হাবিবউল্যাহ তালুকদার বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় গত ২৬ এপ্রিল একটি হত্যা মামলা (নং: ২৬) দায়ের করে। মামলায় ১১ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। বিবাদীরা হলো : মৃত: ফজল হক পাটওয়ারির ছেলে মফিজুর রহমান মফু, মফুর স্ত্রী মুকুল বেগম, তাদের মেয়ে মনু আক্তার, শিলা আক্তার, নীলা, ছেলে আরিফ হোসেন, সুজন হোসেন, সজীব হোসেন, শুভ হোসেন মেয়ে পুষ্প আক্তার ও তানজিনা।

মামলায় হাবিবউল্যাহ তালুকদার দাবি করেন, বিবাদিরা পরস্পর গত ২০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টায় তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদেশ্যে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি, লাঠি দিয়ে আঘাত করে ও পরে তার মুখে বিষ প্রয়োগ করে।

হামলার পূর্বে রুমা তার মোবাইলে স্বামী জিল্লুকে জানায় হামলাকারীরা মারতে আসছে “আমার জীবন বাঁচাও”। জিল্লু বাড়িতে এসে রুমাকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পেয়ে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসারা তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।

রুমাকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।

পরে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য রুমার লাশ মর্গে প্রেরণ করে।

নিহত রুমার পিতার দাবি সম্পত্তিগত বিরোধকে কেন্দ্র করেই তার মেয়েকে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।

প্রসঙ্গত, প্রায় ১১ বছর পূর্বে রুমার সাথে জিল্লুর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে তিশা আক্তার (৮) ও তাহমিন হোসেন (২) নামের দুইটি সন্তান রয়েছে। মাকে হারিয়ে তিশা ও তাহমিন এখন বাকরুদ্ধ। তারা তাদের মায়ের অপেক্ষায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ছে। তাদের সান্তনা দেয়ার ভাষাও হারিয়ে ফেলছে স্বজনরা।

শরীফুল ইসলাম [/author]

: আপডেট ৪:০২ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ