Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জের স্কুল ছাত্রীকে কৌশলে অপহরণের ৯ দিন পর উদ্ধার
Faridgonj

ফরিদগঞ্জের স্কুল ছাত্রীকে কৌশলে অপহরণের ৯ দিন পর উদ্ধার

ফরিদগঞ্জ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে কৌশলে অপহরণের ৯ দিন পর শুক্রবার গভীর রাতে যশোর জেলার নওদা গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ১৭ ডিসেম্বর উপজেলার গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই স্কুল ছাত্রী অপহৃত হয়।

অপহৃতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ১৭ ডিসেম্বর ওই স্কুল ছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার পর তার পিতা কামাল হোসেন প্রথমে ১৯ ডিসেম্বর ফরিদগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি ও পরে ২১ ডিসেম্বর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এর পরদিন পুলিশ গোবিন্দপুর গ্রাম থেকে সায়েদ দেওয়ান (২৩)-কে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহরণকারী আরিফ হোসেনকে আটকের চেষ্টা চালায় পুলিশ। এক পর্যায়ে আরিফের পিতা শাহজাহান মিজি ও মা রশুমা বেগমকে আটক করে।

মামলার তদন্তকারী ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল জানান, অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী সায়েদ দেওয়ানের যোগসাজসে আরিফ ওই স্কুল ছাত্রীকে কৌশলে অপহরণ করে। পরে তাকে সিলেটে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে ৪/৫ দিন রেখে ২১ ডিসেম্বর সেখান থেকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ২৪ ডিসেম্বর যশোর সদর উপজেলার নওদা গ্রামে নিয়ে যায়।

সেখানে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিতে গেলে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করলেও সেখান থেকে কৌশলে আরিফ পালিয়ে যায়।

সংবাদ পেয়ে পুলিশ শুক্রবার গভীর রাতে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

এক প্রশ্নের জবাবে তদন্তকারী কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বলেন, ওই স্কুল ছাত্রীকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্য ছিলো কিনা তদন্তে বেরিয়ে আসবে, তবে আরিফকে আটকের চেষ্টা চলছে। তাকে আটক করতে পারলে মূল রহস্য উন্মোচিত হবে।

ওই দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারের পর পুলিশ তার পিতা-মাতার হেফাজতে দিলেও আজ রোববার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্যে তাকে চাঁদপুর প্রেরণ করা হবে বলে জানায় পুলিশ। এছাড়া ইতিপূর্বে আটককৃত তিনজন বর্তমানে চাঁদপুর জেল হাজতে রয়েছে।

নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০১:৪৫ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫, রোববার

এমআরআর