Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জের নয়ারহাটে ভাইয়ের হাতে ভাই আহত
ফরিদগঞ্জের নয়ারহাটে ভাইয়ের হাতে ভাই আহত

ফরিদগঞ্জের নয়ারহাটে ভাইয়ের হাতে ভাই আহত

ফরিদগঞ্জের নয়ারহাটে ইউপি নির্বাচনের গণসংযোগে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হামলার এ ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টায় নয়ারহাট বাজারে। পরে সহিংসতাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিরোধে ভাইয়ের উপর ভাইয়ের হামলার অভিযোগ উঠেছে। আহতদের চিকিৎসা গ্রহণেও বাধা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, শুক্রবার রাতে গোবিন্দপুর উত্তর ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী তাহের সরকার নয়ারহাট বাজারে অর্ধশত সমর্থক নিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে গণসংযোগ করেন। গণসংযোগটি বাজারের মধ্যভাগে আসলে একদল যুবক নৌকা প্রতীকের সমর্থনে মিছিল বের করে। গণসংযোগ ও মিছিলটি মুখোমুখি হলে আনারস প্রতীকের বেশ কয়েকজন সমর্থক লাঞ্ছিত হয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ৯টায় উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সায়েদ সরকার নয়ারহাট বাজারে আসলে আ’লীগের কর্মী-সমর্থকরা একত্রিত হয়ে বাজারে মহড়া দিয়ে বাজার সংলগ্ন (আবু সায়েদ সরকারের নিজ বাড়ি) সরকার বাড়িতে যায়। এ সময় তাদের কয়েকজন সায়েদ সরকারের ছোটভাই মাহিদুল ইসলাম সরকারের বসতঘরে হামলা চালায়। হামলায় মাহিদ সরকার আহত ও তার বসতঘরের দেয়াল ও গ্লাসের ক্ষয়ক্ষতি হয়।

তবে হামলায় আহত মাহিদুল ইসলাম সরকার অভিযোগ করেন, তাদের পারিবারিক সম্পত্তিগত বিরোধকে কেন্দ্র করে তার ভাই উপজেলা আ’লীগ সেক্রেটারী আবু সায়েদ সরকারের নির্দেশে তার উপর হামলা চালানো হয়। হামলার পর যাতে চিকিৎসা গ্রহণ করতে না পারেন সেজন্য ঘরের চারদিকে একদল চিহ্নিত যুবক দেশীয় অস্ত্রসহ অবস্থান নেয় বলে তিনি জানান।

মাহিদুল ইসলাম সরকার আরো অভিযোগ করেন, তিনিসহ তার অপর ভাইরা দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে অবস্থান করে নয়ারহাট বাজারে প্রায় ৪০টির মতো দোকানসহ বেশকিছু সম্পত্তি গড়ে তোলেন। যেহেতু বাড়িতে মেঝ ভাই আবু সায়েদ সরকার অবস্থান করছেন তাই তিনি’ই এই সম্পত্তি দেখভাল করে আসছেন। এছাড়া ৩০ বছর আগে তার বাবা মৃত্যুকালীন সময়ে যে পারিবারিক সম্পত্তি রেখে গেছেন তা পুরোটাই বর্তমানে সায়েদ সরকার ভোগদখল করছেন। বর্তমানে সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার জন্য পারিবারিক চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সায়েদ সরকার এই হামলার ঘটনা ঘটায় বলে মাহিদ অভিযোগ করেন।

তবে এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে উপজেলা আ’লীগ সেক্রেটারী আবু সায়েদ সরকার দাবি করেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কে বা কারা বাজারে বিশৃঙ্খলা করেছে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে তিনি নিজেও স্থানীয়দের ডেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অনুরোধ করেন।

এছাড়া সাহেদ সরকার ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার ও ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী আবদুর ছাত্তার ছৈয়ালকে ডেকে নির্বাচনের আগে আর যাতে সাপ্তাহিক বাজারের দিন কোন দলের প্রার্থী’ই গণসংযোগ কিংবা মিছিল না করেন এ ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেন।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট||আপডেট: ১১:৫৯  অপরাহ্ন, ০৯ এপ্রিল ২০১৬, শনিবার

চাঁদপুর টাইমস /এমআরআর

Leave a Reply