Home / বিশেষ সংবাদ / প্রতারক প্রেমিক-প্রেমিকার অনলাইনে পণ্য ক্রয়ের ফাঁদ!
প্রতারক প্রেমিক-প্রেমিকার অনলাইনে পণ্য ক্রয়ের ফাঁদ!

প্রতারক প্রেমিক-প্রেমিকার অনলাইনে পণ্য ক্রয়ের ফাঁদ!

‎Sunday, ‎April ‎05, ‎2015  10:23:07 PM

চাঁদপুর টাইমস ডট কম :

রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র তার পুরনো ল্যাপটপ বিক্রি করবেন। বন্ধুদের পরামর্শে অনলাইনে বিজ্ঞাপনও দেন। পর দিন এক তরুণী তাকে ফোন দেন। মিষ্টি কণ্ঠের তরুণী ল্যাপটপ ক্রয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেন। নিজের পরিচয় দেন পান্থপথের একটি ল’ চেম্বারের স্টাফ হিসেবে। ওই ছাত্রকে ল্যাপটপ নিয়ে তার অফিসে যাওয়ার অনুরোধ করেন। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী হাজির হন ওই ছাত্র। তরুণী তখন ওই ল’ চেম্বারের অভ্যর্থনাকক্ষে বসে আছেন। মিষ্টি হেসে সাবলীল বাচনভঙ্গির মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানান সুন্দরী ওই তরুণী। সেখানে বসেই ল্যাপটপ নিয়ে প্রয়োজনীয় আলাপচারিতা শুরু করেন। একপর্যায়ে বসকে দেখানোর উদ্দেশ্যে ল্যাপটপ নিয়ে অফিসের ভেতরে চলে যান তিনি। এরপর লাপাত্তা। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর খোঁজ নিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন। হারিয়েছেন নিজের প্রিয় ল্যাপটপটি।

এ তরুণীর দ্বারা এভাবে প্রতারণার শিকার অন্তত পাঁচজন সম্প্রতি র‌্যাবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সকালে আদাবরের একটি বাসা থেকে আফসানা নামে ১৯ বছরের ওই তরুণীকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তার প্রেমিক তানভীর হোসেন (২৩) ও সহযোগী রানা রায়হানকে।

র‌্যাব দাবি করেছে, তানভীর ও আফসানা প্রেমিক-প্রেমিকা। এই যুগল একসঙ্গে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করতে আগ্রহীদের সঙ্গে প্রতারণা করে তাদের পণ্য হাতিয়ে নেন। তিন মাস আগে আগারগাঁও এলাকা থেকে একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল আফসানাকে।

র‌্যাব-২-এর লে. কমান্ডার সাজ্জাদ রায়হান জানান, গত ১০ মার্চ পান্থপথের একটি ল’ চেম্বার থেকে এক ছাত্রের ল্যাপটপ হাতিয়ে নেওয়ার পর কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। গত শুক্রবার র‌্যাবের কাছে অভিযোগ করে ওই ছাত্র। পরে র‌্যাব তদন্ত করে নিশ্চিত হয় ঘটনার সঙ্গে আফসানা এবং তার প্রেমিক তানভীর জড়িত।

সাজ্জাদ রায়হান জানান, আনুমানিক তিন বছর আগে আফসানার বাবা-মায়ের মধ্যে ডিভোর্স হয়। এর পর থেকে সে নানির বাড়িতে থাকত। তার বাবা বিয়ে করে নতুন করে সংসার শুরু করেন। সম্প্রতি তার মাও বিয়ে করেন এবং দ্বিতীয় স্বামীকে নিয়ে নানার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। এ বিষয়টি আফসানা মেনে নিতে পারেননি। তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান এবং চরম আর্থিক সংকটে পড়েন। টাকার অভাবে তিনি অনার্সে ভর্তি হতে পারেননি। তার এই দুঃসময়ে তানভীরের সঙ্গে পরিচয় এবং প্রেম হয়। এরপর তারা দু’জন মিলে এই প্রতারণা শুরু করেন।

গ্রেফতারকৃত তিনজনের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাজ্জাদ রায়হান।

সূত্র : সমকাল।

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/2015