কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতির নিদর্শন হিসেবে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেয়া হলো জনপ্রশাসন পদক। ব্যক্তিগত,দলগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে ৩০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ পদক দেয়া হয়।
এর মধ্যে চাঁদপুরের নন্দিত হয়েছেন ৬ জন তথা জেলা প্রশাসকের ৬ কর্মকর্তা এ পদক পান। শনিবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি দিয়েছি। ১২৩ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করেছি। আমরা যে বাজেট বা কর্মসূচি হাতে নেই তা যেন দ্রুত বাস্তবায়ন হয়, এটিই চাই। এজন্য কর্মীদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। শুধু চাকরির স্বার্থে চাকরি নয়, জনগণের জন্য কাজ করা পবিত্র দায়িত্ব, সে হিসেবে কর্মসম্পাদন করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমানসহ সরকারি ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত চাঁদপুরের নন্দিতরা হলেন, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো.আব্দুস সবুর মন্ডল, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হাই, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড.এএসএম দেলওয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.সফিকুর রহমান, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা।
জাতীয় পর্যায়ে ব্র্যান্ডিং জেলা হিসেবে চাঁদপুর জেলা প্রশাসককে দলনেতা করে এ ৬ জনকে জনপ্রশাসন পদক প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে ১৮ ক্যারেট মানের এক ভরি ওজনের স্বর্ণপদক, ক্রেস্ট, সম্মাননাপত্র (সনদ) ও জনপ্রতি সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা এবং দলগত অবদানের ক্ষেত্রে স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্রে পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। অন্যদিকে জেলা পর্যায়ে ব্যক্তিগত অবদানের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা ও সম্মাননাপত্র এবং দলগত অবদানের জন্য সম্মননা ও সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়।
এদিকে এ পদক পেয়ে ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরের প্রশাসনসহ সুশীল সমাজ গর্বিত। এরইমধ্যে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডলসহ এ ৬ কর্মর্কতার ছবি সংবলিত অভিনন্দন বার্তা ভাসছে ফেসবুক দুনিয়ায়। তাঁরাও এ পদককে চাঁদপুরবাসীর জন্যে উৎসর্গ করেছেন।
এর আগে সোমবার (১৭ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড.মো.মোজাম্মেল হক খানের স্বাক্ষরিত পত্রে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়, তখন থেকে সোস্যাল মিডিয়া ও চাঁদপুরের স্থানীয় গণমাধ্যমজুড়ে ব্যাপক ঝড় উঠে।
এদিকে এ বিষয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘এ বিরল অর্জন ও সম্মাননা চাঁদপুর জেলার সকল সংসদ সদস্য,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান,উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ,পৌর মেয়রগণ,জেলা পুলিশ,নৌ-পুলিশ,কোস্ট গার্ড, প্রেসক্লাবের সদস্য,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার(ভূমি), মৎস্য বিভাগ, মৎস্যজীবি ও মৎস্য ব্যবসায়ী, জেলা ব্র্যান্ডিং প্রকাশনা কমিটি, জেলা ব্র্যান্ডিং কমিটির সদস্য এবং চাঁদপুরের সাধারণ জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতার ফলে সম্ভব হয়েছে ।’
এ জন্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষে সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হাই জানান,‘সোনার বাংলা গড়তে আত্মপ্রত্যয়ী, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর ও আইসিটির বিকাশে উদ্যোমী বাংলাদেশের যুব সম্প্রদায়কে এ পদক উৎসর্গ করলাম। চাকুরি জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন এটি। তাই মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। এ বিরল অর্জন ও সম্মাননা চাঁদপুরবাসীর অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতার ফলে সম্ভব হয়েছে ।’
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডলের প্রতিক্রিয়াসহ আরেকটি প্রতেবদন দেখুন– পদকপ্রাপ্তির কৃতিত্ব চাঁদপুরবাসীর : জেলা প্রশাসক
প্রতিবেদক:আবদুল গনি
:আপডেট,বাংলাদেশ সময় ৭:৩০ পিএম,২৩ জুলাই ২০১৭,রোববার
ডিএইচ