Home / সারাদেশ / দেশের সব উপজেলায় একটি বাড়ি একটি খামারের কার্যালয় হচ্ছে
khamar.................
প্রতীকী ছবি

দেশের সব উপজেলায় একটি বাড়ি একটি খামারের কার্যালয় হচ্ছে

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন,একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প দারিদ্র বিমোচনের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে দেশের সব উপজেলায় একটি বাড়ি একটি খামারের কার্যালয় হচ্ছেযাচ্ছে। এ প্রকল্পটির প্রতি উপজেলায় স্থায়ী কার্যালয়ের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনে পূর্ণাঙ্গ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে।

সোমবার (২২ মে)সচিবালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের নিজস্ব কার্যালয় উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে স্থাপনের জন্য উপজেলা পরিষদের জমি ব্যবহারের বিষয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের মধ্যে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো.মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনক্ষণ নির্ধারণ করে দেশ থেকে দারিদ্র হটানোর যে অঙ্গীকার করেছেন তা’বাস্তবায়নে এ প্রকল্পের সুবিধা কাজে লাগবে। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের বাস্তবায়নাধীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প দেশের ৬৪টি জেলার ৪শ’৯০টি উপজেলার দরিদ্র মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বিমোচনের মধ্য দিয়ে আর্থ-সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলাই এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। প্রকল্পের উন্নয়নমূলক এ কর্মকা- চলমান রাখার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক,যা উপকারভোগী সদস্যদের মাঝে সহজ শর্তে জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা প্রদান করবে।

মন্ত্রী বলেন,একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের ২য় মেয়াদ ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত ৪০ হাজার ২ শ’১৬টি গ্রাম উন্নয়ন সমিতি গঠনের মাধ্যমে প্রায় ২২ লাখ সদস্য পরিবারের সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। যার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকা দরিদ্র মানুষের সংখ্যা এক কোটির ওপরে।

সমিতির আওতাভুক্ত দরিদ্র এ সকল সদস্যদের নিজস্ব সঞ্চয় জমা হয়েছে ১ হাজার ৬০ কোটি টাকা এবং সঞ্চিত জমার সঙ্গে উৎসাহ বোনাস, ব্যাংক মুনাফা ও আবর্তক তহবিলসহ ৩ হাজার ১শ’৮৫ কোটি টাকার একটি স্থায়ী পুঁজি গঠন করে দেয়া হয়েছে। যা দিয়ে সদস্যরা নিজেদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, রাষ্ট্রীয় এ কর্মকা-ের সঙ্গে উপজেলা পর্যায়ের সকল জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট। দেশব্যাপী এ কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্যে প্রতি উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে একটি করে পাকা অফিস ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ নীতিগতভাবে তা’ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেন। সে লক্ষ্যে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলন কক্ষে উভয়ের মধ্যে (২২ মে ) সমঝোতা চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তি মোতাবেক সকল উপজেলা পরিষদের নিজস্ব ক্যাম্পাসে একটি বাড়ি একটি খামার এবং পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কমবেশি ১ হাজার বর্গফুট জায়গা স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগকে বরাদ্দ দিবে যেখানে প্রকল্প এবং ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়নে পাকা ভবন নির্মিত হবে।
প্রকল্পের ৩য় মেয়াদে ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত ৬০ হাজার ৫ শ’১৫টি সমিতির আওতায় ৩৬ লাখ ৩১ হাজার সদস্যের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের অগ্রযাত্রায় এ পর্যন্ত ১৬ হাজার সমিতি গঠন করা হয়েছে। এ সমিতিতে ৬ লাখ ৬৪ হাজার সদস্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। যাদের নিজস্ব জমাকৃত সঞ্চয়ের পরিমাণ ১৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

প্রসঙ্গত,স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মাফরূহা সুলতানা নিজ নিজ বিভাগের পক্ষে উক্ত সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

নিউজ ডেস্ক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭ :২৫ পিএম, ২২ মে ২০১৭, সোমবার
এজি

Leave a Reply