Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / দখল-দূষণ ও কচুরিপানায় চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ নৌ-পথ অচল
dhakatia dhuson

দখল-দূষণ ও কচুরিপানায় চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ নৌ-পথ অচল

চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ নৌপথে অতিমাত্রায় কচুরিপানা জটে নৌ-যান চলাচল করতে পারছে না। ফলে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছে।

এদিকে দখল আর দুষণে আশপাশের পরিবেশ বিষ বাষ্পে পরিণত হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

ফরিদগঞ্জ-চাঁদপুর নৌপথের দুরত্ব প্রায় ১৮ কি.মি.। পুরো নৌ-পথটি ডাকাতিয়া নদী। বর্তমানে জটিল আকার ধারণ করেছে কচুরি পানা।

নদী কচুরিপানা দিয়ে এমনভাবে বেষ্টিত যে পায়ে হেঁটে নদী পার হওয়া সম্ভব । আবহমান কাল থেকে চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ নৌপথটি দিয়ে চাঁদপুর থেকে ৩/৪ শ‘ মণ মালামাল নিয়ে এক একটি নৌকা চান্দ্রা, টুবগী, গাজীপুর হয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরে আসত । বর্তমানে এ নৌপথে মাত্রাতিরিক্ত কচুরি পানা জটে নৌপথ বন্ধ হয়ে গেছে।

নৌচালক/নৌকার মাঝিরা জানান, ৬০/৭০টি নৌকা এ পথে আবহমান কাল থেকে চলে আসলেও কচুরিপানার কারণে এখন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছি। তাই এখন আর পাল তোলা নৌকার ডাকাতিয়াতে দেখা মিলছেনা।

ব্যবসায়ীরা জানান, স্থল পথে মালামাল বহনে ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল আর নৌপথে আনেক কম খরচে মালামাল বহন করা যায়। তাই ব্যবসায়ী ও পরিবেশবিধদের দাবি, ডাকাতিয়া নদীর কচুরিপানা অপসারণ পূর্বক নৌ-পথের পুনরুদ্ধার ও পরিবেশ দুষণের হাত থেকে নদী তীরের জন বসতিকে রক্ষা করা জরুরি ।

সরকার প্রতিবছর ডাকাতিয়া নদীতে জেলে পরিবারগুলোর কথা চিন্তা করে মাছের পোনা অবমুক্ত করছে। কচুরিপানা পচে পানি দুর্গন্ধ হয়ে মাছে মড়ক লেগে কোটি কোটি টাকার মৎস্য সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি পানি দুর্গন্ধ হয়ে হাজার হাজার বোয়াল, পাবদা, রুই, মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে যাচ্ছে।

এ নদীর ফরিদগঞ্জ অংশের বেশ কিছু অংশ দখল ও দুষণের কবলে পড়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে।

উপজেলা সদরের বাজারের উত্তর অংশে কেরোয়া ব্রীজের দু’পাড়ের দু‘পাশ ময়লা -আর্বজনা ফেলে বিশাল অংশ ভরাট করেছে দখলবাজরা। ফলে প্রতি নিয়ত হাজার হাজার মানুষের ওঁই পথে চলতে দুর্গন্ধের কারণে নাক চেপে ধরে চলতে হচ্ছে। বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও পৌর কর্তৃপক্ষ নিস্তার দিতে পারেনি।

ডাকাতিয়া নদী সংস্কার ও উৎপাদনমুখী কর্মকান্ডের জন্যে সাংসদ ড. শামছুল হক ভূঁইয়া ৪ শ‘ ৬৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে ডকাতিয়া নদীকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো ও পর্যটন এলাকায় পরিণত করা যাবে বলে সংসদ সদস্য জানান।

উপজেলা মৎস্য সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ লাজু জানান, ‘কচুরিপানা অপসারনের জন্য বড় ধরনের প্রকল্প হতে নিয়ে পানি ,মাছ ও পরিবেশ দুষণমুক্ত ও জেলে পরিবারের টিকে থাকার ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

ডাকাতিয়া নদী দখল ও দুষণ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড.মোঃ শহিদ হোসেন চৌধুরী জানান, ‘আমি উপজেলায় এসে “পরিছন্ন ফরিদগঞ্জ” নামকরণ করে পৌর শহরসহ সবর্ত্র পরিচছন্ন রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। অচিরেই পৌর মেয়রের সাথে এ বিষয় কথা বলে দুষণ ও দখল বন্ধ করার ব্যবস্থা নেবো।

এ সংক্রান্ত আরেকটি প্রতিবেদন দেখুন–

ফরিদগঞ্জে দখল আর দূষণের কবলে ডাকাতিয়া : রক্ষার উদ্যোগ নেই

প্রতিবেদক- আতাউর রহমান সোহাগ
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০ : ২০ পিএম, ২৮ মে ২০১৭, রোববার
ডিএইচ

Leave a Reply