Home / চাঁদপুর / নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক
নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক

নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক

চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বেশ ক’টি এলাকা এবং হাইমচর উপজেলার চর ঈশানবালার নদীভাঙন এলাকা শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করেছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো.আব্দুস সবুর মন্ডল।

এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ ১শ’পরিবারের মাঝে সরকারের ত্রাণ তহবিল হতে শুকনো খাবার বিতরণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান,চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা,সদর অ্যাসিল্যান্ড অভিষেক দাস,রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী প্রমুখ।

পরে জেলা প্রশাসক লগ্মীমারার চরে গৃহহীন হয়ে পড়া মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদেরকে পুনর্বাসনের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।

এ আশ্রায়ন প্রকল্পটি স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা.দীপু মনি এমপি ২০১২ সালের ৯ মার্চ উদ্বোধন করেন। আশ্রায়ন প্রকল্পে প্রায় শতাধিক পরিবার বসবাস করছে।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো.আব্দুস সবুর মন্ডল বলেন,‘গত বুধবার রাতে ভাঙন শুরু হলে আশ্রায়ন প্রকল্পের একটি বৃহৎ অংশ মেঘনা নদীতে তলিয়ে যায়। পরদিন সকাল ১১ টায় হাজী কুদ্দুস বেপারী কান্দি জামে মসজিদটি মেঘনা নদীতে তলিয়ে যায়। এ মসজিদটিতে প্রায় অর্ধ-শতাধিক মুসলিম প্রতিনিয়ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতো। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে তাদের পুনর্বাসন করা হবে। তবে তাদের পুনর্বাসন করার জন্য আমরা তালিকা তৈরি করে স্থানীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করবো।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন,‘উত্তরাঞ্চল থেকে উজানের পানি চাঁদপুর নদীর সীমানার ওপর দিয়ে নামতে শুরু করায় রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। ৩ বছর যাবৎ শতাধিক পরিবার এ আশ্রায়ন প্রকল্পে বসবাস শুরু করে। আশ্রায়ন প্রকল্প এলাকার একটি বৃহৎ অংশ মেঘনার গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এখানকার বসবাসরত পরিবারগুলোকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় ইউপি মেম্বার শফিক কুড়ালির মাধ্যমে নদীভাঙনের শিকার পরিবারের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসক মো.আব্দুস সবুর মন্ডলের কাছে প্রদান করা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্তপরিবারের গুলো হলো,নূরতারা,দিদার দর্জি,খলিল তাঁতি,সেকুল বেপারী,নূরে আলম গাজী,সালাউদ্দিন মাঝি,আলী হোসেন বেপারী,আইয়ুব আলী গাজী,আব্দুর রহিম বেপারী, কামাল বেপারী,ইউসুফ আলী বেপারী,সাত্তার বেপারী,ওমর আলী বেপারী,নবী বেপারী,আনোয়ারা বেগম,ইমান মাঝি,আহমেদ আলী, শরবত প্রধানীয়া, জমির আলী বেপারী, তপিল কাজী,আহছান পাটওয়ারী,মাওলানা হাছান,জিন্দা গাজী,ওচমান প্রধানীয়া,আবুল কাজী,মজিব বেপারী, নেকমত হোসেন,তৈয়ব সরকার,ওছমান দেওয়ান, নুরুল হক শেখ,রহমত কুড়ালী, রুস্তম কুড়ালী,সেকান্তর মাল,জান শরিফ কুড়ালী,মনির খালাসী,খালেক পাটওয়ারী,নূরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

এদেরকে হাজী কুদ্দুছ বেপারী কান্দির আশ্রায়ন প্রকল্প থেকে বলিয়ারচর ও মান্দের বাজার এলাকায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

অপরদিকে শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী হযরত আলীর বেপারীর সভাপতিত্বে বন্যা দুর্ভোগ ও নদীভাঙনের শিকার পরিবারগুলোকে নিরাপদ ও উঁচু স্থানে সরিয়ে নেয়ার জন্যে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের সাথে জরুরি সভা করা হয়েছে।

করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ ০৮ : ৩০ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০১৭, শনিবার
এইউ

Leave a Reply