Home / লাইফস্টাইল / ত্বককে সতেজ রাখার উপায়
ত্বককে সতেজ রাখার উপায়

ত্বককে সতেজ রাখার উপায়

সুন্দর ত্বক মানেই সতেজ ত্বক। ত্বকে সতেজতা না থাকলে তা দেখতে অসুন্দর দেখায়। সুন্দর ও সুস্থ ত্বকের পূর্বশর্ত হলো- সুষম খাদ্যগ্রহণ, প্রচুর পানি ও নিয়মিত ব্যায়াম ও অধূমপায়ী হওয়া। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বক বুড়িয়ে যেতে থাকে। সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে ত্বকের সতেজতা ধরে রাখা সম্ভব। চলুন জেনে নেই….

সিলিকন ত্বক কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের জন্য সিলিকন প্রয়োজন। সিলিকন সবজি, খাদ্যশস্য ও সামুদ্রিক মাছে পাওয়া যায়। এছাড়া কপার ত্বকের কোলাজেন, ইলাস্টিন ও মেলানিন তৈরিতে সহায়তা করে বলে কপারও ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয়।

সেলেনিয়াম অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ও রোদে পোড়া ত্বককে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সহায়ক। প্রতিদিন আমাদের ১০০ মাইক্রোগ্রাম সেলেনিয়াম প্রয়োজন।

যারা ফর্সা রঙের অধিকারী তাদের ত্বকের নানারকম সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। মেলানিন কম থাকলে ত্বকের বলিরেখা, কালো দাগ, রোদে পোড়া দাগ। ক্যান্সারের ঝুঁকিও তাদের বেশি।

ভিটামিন ‘ই’ ত্বকের বলিরেখা দূর করে। এমন কি দীর্ঘদিন ব্যবহারে ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। প্রতিদিন ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ‘ই’ আমাদের প্রয়োজন।

ত্বকের সতেজতা ধরে রাখতে ভিটামিন ‘সি’রও তুলনা নেই। কাঁচা সবজি ও টক ফলে পাবেন ভিটামিন ‘সি’। প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ আমাদের প্রয়োজন। কিছু মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ত্বকের জন্য উপকারী। এর মাঝে রয়েছে সিলিকন, সেলেনিয়াম ও কপার।

খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে ত্বকের লাবণ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব। রঙিন সবজি ও ফলে থাকে বিটা ক্যারোটিন। ভিটামিন ‘এ’ বা বিটা ক্যারোটিন ত্বকের জন্য জরুরি উপাদান।

ব্রণের চিকিৎসায় ভিটামিন ‘এ’ সাপ্লিমেন্ট দেয়া হয়। বাকি দুটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট অর্থাৎ ভিটামিন ‘সি’ ও ভিটামিন ‘ই’ ত্বকের জন্য জরুরি উপাদান।

ভিটামিনসমৃদ্ধ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্রিম ব্যবহারেও ভালো ফল পাওয়া যায়। মেছতার দাগের জন্য হাইড্রোকুইননযুক্ত ক্রিম উপকারী। ব্রণের জন্য ট্রিটিনইন রেটিন-এ জেল ভালো কাজ দেয়। বর্তমানে আলফা হাইড্রক্সি এসিডযুক্ত ক্রিম পাওয়া যায়।

ত্বকের মরা কোষ সরিয়ে দেয় আলফা হাইড্রক্সি। এতে ত্বক সতেজ হয়ে ওঠে। এছাড়া রোদে পোড়া ত্বক, বলিরেখা, ব্রণ, যে কোনো সমস্যার জন্য আলফা হাইড্রক্সি ভালো কাজ দেয়।

এছাড়া ত্বক সুস্থ রাখতে নানারকম ফল যেমন- আনারস, কমলা, আপেল, আঙুর খাওয়া উচিত। কারণ এগুলোতে আলফা হাইড্রক্সি থাকে।

লাইফস্টাইল ডেস্ক ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ৬ :৪২ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০১৬, সোমবার
এইউ

Leave a Reply